চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএল মিশন শুরু দুর্দান্ত ঢাকার
বিপিএল ২০২৪ এর উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লিটন কুমার দাসের দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকা। তবে ম্যাচটি শেষ ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছে ঢাকার ব্যাটসম্যানদের বদান্যতাতেই, সহজ তাড়াকে কঠিন বানিয়ে শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে জিতেছে মোসাদ্দেকের দল। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন হ্যাটট্রিক করা শরিফুল ইসলাম।
বোলিংয়ে শরিফুল আর ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ নাইম, দিনটা ছিল ঢাকার দুই বাঁহাতির। প্রথমে কুমিল্লাকে অল্প রানে আটকাতে হ্যাটট্রিক করে বড় ভূমিকা রাখলেন শরিফুল, এরপর হাফসেঞ্চুরি করে ঢাকার রান তাড়ার বড় অংশের কাজ সেরেছেন নাইম। শেষদিকে ইরফান শুক্কুর পালন করেছেন ফিনিশারের ভূমিকা।
কুমিল্লার দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৯.৩ ওভার খেলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ঢাকা। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও গুনাতিলাকা। ১২.৪ ওভারে দুজনে করেন ১০১ রানের জুটি। নাইম একপাশে চালিয়ে খেললেও গুনাতিলাকা ছিলেন শান্ত। ৪০ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৫২ রানের ইনিংস খেলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নাইম। এরপরই গুনাতিলাকাও ফেরেন ৪২ বলে ৪১ রান করে, তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও এক ছয়।
এর আগে বিপিএল ২০২৪ এর প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন শরিফুল ইসলাম। কুমিল্লার ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে এই কীর্তি গড়েন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। তার হ্যাটট্রিকের সঙ্গে অন্য বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ১৪৩ রানেই আটকে দেয় দুর্দান্ত ঢাকা। শরিফুল এবারের বিপিএলের প্রথম এবং সবমিলিয়ে সপ্তম হ্যাটট্রিক করেছেন।
কুমিল্লার ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শরিফুল। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট। এছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। কুমিল্লার ইনিংস থামে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে।
ঢাকার দুই বাঁহাতির জয়ের দিনে হেরেছেন কুমিল্লার বাঁহাতি ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করা কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ফিরে যান ১৬ বলে ১৩ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রান যোগ করেন ইমরুল ও তাওহিদ হৃদয়। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল ধীর। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ বলে ছয় চার ও দুই ছয়ে ৬৬ রান করেন ইমরুল, হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে এক চার ও দুই ছয়ে ৪৭ রান।