ঈদের ছুটিতে বেনাপোল দিয়ে ৪০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে বেড়েছে পাসপোর্টধারীদের চাপ। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কেউ ভারতে গেছেন, আবার অনেকে এসেছেন বাংলাদেশে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। ঈদের ছুটিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
বোনপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এরমধ্যে ভারতে গেছেন ২৫ হাজার যাত্রী।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। তারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।
পাসপোর্টধারী ভারতগামী যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ভ্রমণ কর ও ভিসা ফি বাড়লেও সেবা তেমন বাড়েনি। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন অনেকে। বাংলাদেশ অংশের কার্যক্রম কোনোরকমে শেষ হলেও ভারত অংশে জনবল সংকটে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
সামিনা খাতুন নামে এক নারী বলেন, 'লম্বা ছুটি পেয়ে ভারতে যাচ্ছি। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।'
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, যাত্রীসেবা বাড়াতে সম্প্রতি কলকাতায় দুদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়।