চাঁদপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কে গলে যাচ্ছে বিটুমিন, ধীরগতিতে চলছে যানবাহন
গত কয়েক দিনের তাপদাহে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের কয়েকটি স্থানে বিটুমিন গলে পাথর বেরিয়ে এসেছে। এতে সড়কে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চালকরা।
তাপদাহের কারণে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানের অন্তত ১০ থেকে ১৫টি স্থানে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। সড়কের এসব অংশে পাথর হালকা হয়ে যাওয়ায় সড়ক দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা করছে সওজের প্রকৌশলীরা। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কের এসব অংশের সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটি ভেদেরগঞ্জের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে সদর উপজেলার মনোহর বাজার মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ সড়ক দিয়ে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলাচল করে। আঞ্চলিক এই সড়কটিকে মহাসড়কে উন্নীতকরণের জন্য চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে।
কিন্তু ভেদেরগঞ্জের নারায়ণপুর থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত যান চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় এই অংশে ১৭ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেছে। তীব্র তাপদাহে সংস্কার অংশে বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ওই স্থানগুলো দিয়ে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।
সড়কের নারায়ণপুর অংশে ধীরগতিতে চলা মাইক্রোবাস চালক মো. সোহাগ বলেন, মাদারীপুর থেকে চাঁদপুর যাওয়ার সময় ভেদরগঞ্জের এ সড়কের ঢোকার পর কয়েকটি স্থানে তিনি পিচ গলে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করায় ধীর গতিতে গাড়ি চালান।
সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাডকে বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে যে তাপদাহ চলছে তার কারণে দেশের বিভিন্ন সড়কে বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সড়কে ৬০ হতে ৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। যা ৪৯ হতে ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা সহনীয়। পাকা সড়কে বাতাসের তাপমাত্রার চেয়ে ২০ তাপমাত্রা বেশি ধরা হয়।"
তিনি আরো বলেন, "বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। ফলে পাকা সড়কের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। এটা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। আগে দেশের তাপমাত্রা ছিল ৩৫-৩৬ ডিগ্রি। সেই অনুযায়ী ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হত। এখন নতুন তাপমাত্রায় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার বিষয়টি নিয়ে আমরা সড়ক বিভাগ আলোচনা করছি।"
তিনি জানিয়েছেন, তাপমাত্রা কমে আসলে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ আরেকটি লেয়ার দিয়ে সংস্কার করা হবে