বেঁধে দেওয়া হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর খরচ সীমা
ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ সারির ক্লাবগুলোর বেশিরভাগের সঙ্গেই আর্থিকভাবে টক্কর দিয়ে উঠতে পারে না নিচের সারির ক্লাবগুলো। অঢেল টাকা খরচ করে বিশ্বমানের সব ফুটবলার বাগিয়ে নেয় আর্থিক ভাবে শক্তিশালী ক্লাবগুলো। এতে প্রতিযোগিতায়ও এগিয়ে যায় তারা৷
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই টাকা খরচ করার চলটা আরও বেশি। ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা চেলসির মতো ক্লাবগুলো আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ায় চড়া দাম দিয়ে খেলোয়াড় কিনতে কার্পণ্য করে না। এতে অন্যান্য দলগুলো প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।
তবে এবার সেইদিন ফুরোতে চলল। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো এখন থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ করতে পারবে সেটি বেঁধে দেওয়ার নীতিমালা প্রণয়ন হতে চলেছে। বেশিরভাগ ক্লাবই স্পেন্ডিং ক্যাপ বা খরচের সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। লন্ডনে সোমবার ভোট হয়েছে এ বিষয়ে। সেই ভোটে খরচের সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে রায় এসেছে।
২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টিই ভোট দিয়েছে খরচ কমানোর পক্ষে। বিপক্ষে ভোট পড়েছে তিনটি। আর একটি ক্লাব ভোট দেয়নি। প্রস্তাবিত আর্থিক নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ইউনাইটে ও সিটি এবং অ্যাস্টন ভিলা। আর ভোটদানে বিরত ছিল চেলসি।
আগামী জুনে প্রিমিয়ার লিগের এজিএমে অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হবে খরচের বিষয়টি। এখন চালু আর্থিক সংগতি নীতির বদলে কার্যকর হবে খরচ বেঁধে দেওয়ার নতুন এ আর্থিক নীতি। তবে নতুন এ আর্থিক নীতি কার্যকর হবে ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে।
একটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত খরচ করতে পারবে, সেটি নির্ধারিত হবে লিগের সবচেয়ে তলানির দলটির টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্ব ও অন্যান্য বাণিজ্যিক আয়ের অনুপাতে। প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে কম আয়কে ভিত্তি ধরা হবে। সেই ক্লাবের মোট আয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ গুণ খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো। গত মৌসুমে সবচেয়ে তলানির দল সাউদাম্পটন টেলিভিশন স্বত্ব থেকে ১০.৪ কোটি পাউন্ড আয় করেছিল। যার অর্থ সর্বোচ্চ প্রায় ৫২ কোটি পাউন্ড খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো। কিন্তু গত মৌসুমে চেলসি খরচ করেছিল ৫৩.৯ কোটি পাউন্ড। ম্যানচেস্টার সিটি খরচ করেছিল একটু কম—৫০.১ কোটি পাউন্ড।