ঘূর্ণিঝড় রিমালে সারা দেশে ৪৮.৭ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সোমবার (২৭ মে) বিকেলের মধ্যে দেশের ৪৮ শতাংশ মোবাইল টেলিকম টাওয়ার পরিষেবা বন্ধ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে লাখ লাখ মানুষ ভয়েস কলিং ও মোবাইল ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার (২৬) বিকেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে শুরু করে দেশজুড়ে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের।
সোমবার বিকাল ৪টা নাগাদ দেশজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সঙ্গে ৬৪ জেলার ৪৫ হাজার ৬১০টি টেলিকম টাওয়ারের মধ্যে ৪৮.৭১ শতাংশ বা ২২ হাজার ২১৮টি টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এদিন সকাল ৯টায় থেকে ২৮ শতাংশ টাওয়ারের সঙ্গে দেশের নেটওয়ার্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্টেশনগুলোতে ৬-৮ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপের সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় টাওয়ার অপারেটররা পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই কাজও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম।
টেলিকম কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর বেশিরভাগ অঞ্চলে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হতে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই মোবাইল টাওয়ারগুলোর জন্য বিদ্যুতের একমাত্র উৎস হতে পারে জেনারেটর।
দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার নিশ্চিতে সহায়তা করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিদ্যুৎ অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বিটিআরসির তথ্যমতে, দেশের কম ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে তুলনামূলকভাবে বেশিসংখ্যক টাওয়ার চালু রয়েছে। বিপরীতে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে টাওয়ার চালু আছে কম।
৯৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৮৩ শতাংশ টাওয়ারের পরিষেবা বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা গেছে, আর জেলা হিসেবে সিলেটে সবচেয়ে বেশি ৯৩ শতাংশ টাওয়ার সক্রিয় রয়েছে।