এমপি আনার খুনে ৪ জনের নামে লুক আউট নোটিশ জারি পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির, এখনও মেলেনি দেহাংশ
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার খুনে পলাতক ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি।
মঙ্গলবারও (২৮ মে) সিআইডির সঙ্গে তদন্ত চালান বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, তদন্ত চলবে। তবে এই অপরাধীদের সাজা দিতে বেশি বেগ পেতে হবে না।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মূল অভিযুক্ত আখরাউজ্জামান ছাড়াও সিয়াম, মুস্তাফিজুর রহমান ও ফয়জলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে। ভারতের যেকোনো বন্দর বা বিমানবন্দরে দেখা গেলেই তাদের আটক করতে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এরইমধ্যে মঙ্গলবারও আনোয়ারুল আজিম খুনের তদন্তে নামেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। কলকাতার নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মলে একাধিক বিপণিতে যান তারা। খুনের আগে বেশ কিছুদিন নিউ টাউনের একটি হোটেলে ছিলেন খুনিরা। সেখান থেকে ওই শপিং মলে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস কিনেছিলেন তারা। শপিং মল থেকে তারা কী কী কিনেছিল তা জানার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা শপিং মলে ছিলেন তারা।
মঙ্গলবার ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, 'তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরা এখনও দেহাংশ উদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী। সিআইডিকে আমরা হাতিশালা কাঠের ব্রিজ লাগোয়া এলাকায় তল্লাশি চালানোর জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের হাতে ইতিমধ্যে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তাতে এই অপরাধীদের সাজা দিতে বেগ পেতে হবে না।'
গত ১২ মে ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম। এরপর নিউ টাউনের আবাসনে খুন হন তিনি। মরদেহ লোপাট করার জন্য আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন এক কসাই। তিনি নিহত এমপির দেহের হাড়-মাংস আলাদা করেন। চার টুকরো করা হয় খুলি। এর পর দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে ভরে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। একজনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি।