খুলনা ও সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৪
খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পৃথক বজ্রপাতে এক শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- খুলনার কয়রা উপজেলার ঘড়িলাল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এনায়েত আলী (৩৭), মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আল আমিনের ছেলে নাজমুল (৮), পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকান্ত মন্ডল (২৫) এবং বটিয়াঘাটা উপজেলায় খারাবাদ এলাকায় বজ্রপাতে আল মামুন (১৭)। এছাড়া নিহত নাজমুলের নানা মুছা গাজী গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, বিকালে খুলনার পাইকগাছায় বজ্রপাতে শ্রীকান্ত মন্ডল মারা যান। তিনি উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের পতিত মণ্ডলের ছেলে।
পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্রীকান্ত মাছের ঘেরের কর্মচারী ছিল। বিকালে বৃষ্টিপাতের সময় ঘেরের একটি ঝুপড়ি ঘরে অবস্থান করছিল।হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলের তিনি মারা যান। তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে।
এদিকে, দুপুরের দিকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় খারাবাদ এলাকায় বজ্রপাতে আল মামুনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় মনি চৌকিদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে আকাশে মেঘ দেখে আল মামুন খারাবাদ এলাকার কড়িয়া ভিটায় গরু আনতে যায়। এসময় বজ্রপাত ও বৃষ্টি শুরু হয়। ফাঁকা বিলে কোনো নিরাপদ স্থান না পেয়ে তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে আসার সময় বজ্রপাতে মারা যান। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বজ্রপাতে এক শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। এসময় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতেরা খুলনার কয়রা উপজেলার ঘড়িলাল গ্রাম ও মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলি মোড়ল বলেন, খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনেরা তাদের লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে গেছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, ঈদ উপলক্ষে কয়রা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়পদ্মপুকুর এলাকায় বেড়াতে এসেছিলেন তারা। সেখান থেকে চারজন মোটরসাইকেলে করে গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী খেয়াঘাট হয়ে কয়রার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে দুপুর ১টার দিকে গাবুরার গাগড়ামারী ও নেবুবুনিয়া ৩নং এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় তারা একটি মৎস্য ঘেরের বাসায় আশ্রয় নিলে বজ্রপাতে এনায়েত ও নাজমুল ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এছাড়া নিহত নাজমুলের নানা মুছা গাজীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।