গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরাইলের জবাবের অপেক্ষায় হামাস
গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি বিষয়ক প্রস্তাবে ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। রবিবার (৭ জুলাই) হামাসের দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রস্তাবিত এই চুক্তির শর্তগুলোতে সম্মতি জানানোর ৫ দিন পর এ মন্তব্য করেছে হামাস।
গত মে মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার জন্য তিন ধাপের এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি দেন। কাতার ও মিশর এতে মধ্যস্থতা করছে।
এই প্রস্তাবের লক্ষ্য যুদ্ধ শেষ করা এবং হামাসের হাতে আটক প্রায় ১২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা।
এ বিষয়ে অবগত আরেক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল কাতারের সঙ্গে আলোচনা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রবিবার রয়টার্সকে বলেন, 'ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাতারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।'
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চলতি সপ্তাহে আলোচনা হবে। তবে নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি তিনি।
হামাস দাবি করেছে, কোনো চুক্তিতে সই করার আগে ইসরায়েলকে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের একটি সূত্র শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছে, চুক্তির অধীনে প্রথম ধাপের ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই শর্ত বাস্তবায়নে আলোচনার জন্যও আগ্রহী হামাস।
শান্তি প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে এই প্রস্তাবটিই একটি কাঠামোগত চুক্তিতে পরিণত হতে পারে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম বার্নস আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে কাতার সফর করবেন বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং পুরো উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এই পরিস্থিতিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, 'পরিবারগুলো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং ক্রমাগত সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে। উপত্যকাজুড়ে অসহনীয় গরম, প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহের অভাব রয়েছে এবং নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।'
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি