২৫ আগস্টের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে: শিক্ষা সচিব
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৫ আগস্টের পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবে। আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, ''সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কয়েক দিন আগে সাধারণত আমরা একটি ঘোষণা দিয়ে থাকি। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আমরা পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখটি জানিয়ে দেব''
উচ্চ-মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে।
''আমরা সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সুতরাং পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই। তবে এব্যাপারে গুজব ছড়ানো উচিৎ হবে না।''
শিক্ষা সচিব জানান, ''আমরা এখনও এইচএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করিনি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় প্রথমে তাদের নিরাপত্তা নিয়েই আমাদের ভাবতে হবে।''
উল্লেখ্য, প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষা ব্যবস্থায় জড়িত।
এছাড়াও, দেশে ১৩ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায় ৩০,০০০ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গত ১৭ মার্চের পর থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, চলমান মহামারির কারণে।
এ অবস্থায় বাড়িতে বসেই শিক্ষার্থীরা জেন ঘরে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার এবং সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে নিয়মিত পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অনলাইনেও ভার্চুয়াল ক্লাসে পাঠদান চলছে। কিন্তু, উপযুক্ত ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট প্যাকেজের উচ্চ মূল্য, দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রত্যন্ত এলাকায় সেবাটির অনুপস্থিতির কারণে; অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
তাছাড়া, দেশের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক মানুষের ঘরেও টেলিভিশন নেই। এ অবস্থায় পাঠগ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার দরুণ বঞ্চিত হচ্ছে- পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর পড়ুয়ারা।