ছেলের বিয়েতে আম্বানির খরচ ৫,০০০ কোটি রুপি, এ টাকায় আর যা করতে পারতেন
অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বহুল প্রত্যাশিত বিয়ে, যেটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান সেটি বেশ কয়েক মাস উৎসবের পর শেষ হয়েছে। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ছেলের বিয়েতে ৫ হাজার কোটি রুপি খরচ করেছেন বলে জানা গেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
যদিও অনেকেই আম্বানিপুত্রের বিয়ের এত জাঁকজমক দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারকে অত্যধিক খরচ করার জন্য সমালোচনা করেছেন।
আম্বানিপুত্রের বিয়েতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং বিখ্যাত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের তালিকায় মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মেটা প্ল্যাটফর্মের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সহ আরো নামি-দামি ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বিয়েকে ঘিরে বসেছিল তারকাদের মেলা; হলিউড এবং সঙ্গীত জগতের সেলিব্রিটিদের পাশাপাশি বলিউড তারকারাও উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিক জোনাস এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস, রিহানা, জাস্টিন বিবার, ড্রেক এবং জন সিনা সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বিয়েতে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি রুপি খরচ করেছে আম্বানি পরিবার, যা পরিবারটির মোট সম্পদের মাত্র ০.৫ শতাংশ।
এখন প্রশ্ন আসে পাঁচ হাজার কোটি রুপি খরচ করে মুকেশ আম্বানি আর কি কি করতে পারতেন?
১০টি অস্কার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারতেন
একটি অস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আনুমানিক ৫৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। আম্বানি ৫ হাজার কোটি রুপিতে ১০টি অস্কার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে তো পারতেনই, ১১তম অনুষ্ঠানটির অর্ধেক আয়োজনের খরচও তিনি দিতে পারতেন।
তিনটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার কিনতে পারতেন
একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের মূল্য ২১২ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান বিনিময় হারে, ৫ হাজার কোটি রুপি মানে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার। আম্বানিরা আরও কয়েক মিলিয়ন ডলার দিয়ে তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার কিনতে পারতেন।
একটি সিমেন্ট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিনতে পারতেন
হিন্ডেনবার্গ কেলেঙ্কারির পরে আদানি গ্রুপের প্রথম প্রধান অধিগ্রহণের মধ্যে একটি ছিল সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজ, যেটি একটি সিমেন্ট প্রস্তুতকারক। এর বাজার মূল্য ৫ হাজার কোটি। অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে যে অর্থ খরচ হয়েছে তা দিয়ে আম্বানি নিজেই সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজ কিনে নিতে পারতেন।
৬ মাসেই ভারতীয়রা যতটুকু প্রসাধনী ব্যবহার করে, তা একাই কিনতে পারতেন
কান্তার ওয়ার্ল্ডপ্যানেলের তথ্য অনুসারে, ভারতীয়রা ২০২৩ সালের ছয় মাসে প্রসাধনী কেনার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি খরচ করেছে। আম্বানিরা বিয়েতে যা খরচ করেছেন তা দিয়ে একাই সমস্ত প্রসাধনী কিনে নিতে পারতো।
এনভিডিয়া জিপিইউ কেনার জন্য ইন্ডিয়া এআই মিশনকে ফান্ডিং দিতে পারতেন
ভারত সরকার দেশীয় স্টার্টআপগুলোকে ভর্তুকিযুক্ত কম্পিউটিং শক্তি সরবরাহ করার সুবিধার্থে এনভিডিয়া জিপিইউ কিনতে আগ্রহী। তারজন্য ইন্ডিয়া এআই মিশনের অংশ হিসাবে কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি ব্যয় করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।