সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম; মুরগি-ডিম এখনো চড়া
দেশব্যাপী অস্থিরতার কারণে রাজধানীতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় যে-সব সবজির দাম প্রতি কেজি ২০–৩০ টাকা বেড়েছিল, সেগুলোর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম এখনো চড়া।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুক্রবার রাত থেকে অস্থিরতার কারণে ঢাকার বাজারে সবজির সরবরাহ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তা বাড়তে শুরু করেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) ঢাকার বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সবজির দাম কমতির দিকে।
সেগুনবাগিচা পাইকারি বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিসুর রহমান টিবিএসকে বলেন, শুক্রবার থেকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে দাম বাড়লেও দাম এখন নিম্নমুখী।
বেশির ভাগ দোকানে আলু ৭০ টাকা থেকে কমে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।
প্রতি কেজি বেগুনের দাম গত শুক্রবারের ৮০–১০০ টাকা থেকে কমে ৬০–৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের দাম প্রতিটি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। একইভাবে করলা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও ঢেঁড়শ ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কারওয়ান বাজার সবজির আড়তদারদের সংগঠনের সভাপতি ইমরান মাস্টার টিবিএসকে বলেন, এ মৌসুমে এমনিতেই সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকে। দেশব্যাপী অস্থিরতা সরবরাহের ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
সবজির দাম কিছুটা কমলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক। প্রতি আঁটি লাল, পালং ও মুলার শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা কয়েক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫ টাকা। অন্যদিকে প্রতি আঁটি লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
পেঁয়াজ আগের মতোই প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে রাজধানীজুড়ে ডিম ও মুরগির দাম এখনো চড়া। সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২১০ টাকা হয়েছে। কোনো কোনো দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির প্রতি ডজন ডিমের দামও বর্তমানে ১৭০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে, যা কিছুদিন আগে ১৫০–১৫৫ টাকা ছিল।
বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্টের ব্রয়লার মুরগির বিক্রেতা সামসুল জানান, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সরবরাহ একেবারেই কমে যায়। রাতে ঢাকার আশপাশ থেকে মাত্র দু-একটি গাড়ি এসেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে সরবরাহ বাড়লেও আগের মাত্রায় ফেরেনি। দাম আগের মতো হতে আরও দুদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে মুদি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে মূলত সপ্তাহখানেকের চালের মজুত সবসময়ই থাকে বলে আগের সপ্তাহের অস্থির পরিস্থিতিতেও খুব বেশি সরবরাহ সংকট তৈরি হয়নি।