ঢাকা ফিরেছেন সাকিব
যন্ত্রণার সময় অনেকটাই কেটে গেছে, বাকি আর দুই মাস। এরপরই চিরচেনা সবুজ গালিচার বুকে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। এখন তাই প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। নিজেকে প্রস্তুত করতে মঙ্গলবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ফিরেছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
যদিও ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু আরও দুদিন পর দেশে ফিরলেন তিনি। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
কাল রাতে ঢাকা ফিরে সোজা বনানীর বাসায় গেছেন সাকিব। করোনা টেস্টের ফল না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবেন তিনি। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে সোজা চলে যাবেন শৈশবের প্রিয় জায়গা বিকেএসপিতে। সেখানেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন সাকিব। আগামী ৫-৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু করবেন তিনি। নিষেধাজ্ঞায় থাকা অবস্থায় বিসিবির কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না বলে বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছেন সাকিব।
অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু হবে বাংলাদেশের। প্রথম টেস্ট শুরু ২৪ অক্টোবর। তখনও নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন সাকিব। তবে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই তিনি খেলতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আর এই সম্ভাবনাই বেশি।
শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই দলে ফেরা হবে সাকিবের। এ কারণেই বিকেএসপিতে নির্দিষ্ট একজন কোচের সঙ্গে আলাদাভাবে অনুশীলন করবেন তিনি। এ ছাড়া বিসিবিরও পরিকল্পনা আছে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে। শ্রীলঙ্কা সফরে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে সাকিবকে অনুশীলনের মধ্যে রাখতে চায় বিসিবি। ২৯ অক্টোবরের আগে দলীয় অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় সেখানেও এককভাবে অনুশীলন করবেন তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছিল সাকিবের কাঁধে। তার অবর্তমানে টেস্টে মুমিনুল হক ও টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক বানানো হয়। শ্রীলঙ্কায় মুমিনুলের নেতৃত্বেই টেস্ট খেলতে হবে তাকে।
সহসাই কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হলে এই ফরম্যাটেও মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে খেলতে হবে সাকিবকে। এই মুহূর্তে সাকিবকে অধিনায়কত্বে ফেরানোর পরিকল্পনা নেই বিসিবির। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তার হাতেই উঠবে নেতৃত্ব, তবে সেটা নির্দিষ্ট সময় পর। বাকি ফরম্যাটে তামিম ইকবালকেই অধিনায়ক রাখার ইচ্ছা বিসিবির।
জুয়াড়ির কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাকিবের ওপর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। আগামী এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা থাকবে তার ওপর। এ সময়ে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী বিভন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে সাকিবকে।
সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে যান সাকিব। নিষিদ্ধ থাকায় এসময় ক্রিকেট নিয়ে সেভাবে ভাবতে হয়নি তাকে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন আর ফিটনেসের স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। সাড়ে পাঁচ মাস পর দেশে ফিরলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।