করোনা প্রতিষেধকের অপেক্ষায় আছি: ভারতের সিরাম ইন্সটিউটের সিইও
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউট ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে মিলে করোনার প্রতিষেধক উৎপন্ন করছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা বর্তমানে আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই সোমবার নিজের টুইটারে এক পোস্ট তিনি লিখেছেন, 'এই পুরো বিষয়টা নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। আগামী কয়েক মাসের জন্য আমি খুবই উত্তেজিত। করোনা প্রতিষেধকের অপেক্ষায় রইলাম।'
ভারতের পুনেতে অবস্থিত সিরাম ইন্সটিটিউট করোনা ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ উৎপন্ন করবে বলে জানিয়েছে।
ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
ভারতের ১৭টি স্থানে চলছে প্রতিষেধকের প্রয়োগ
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশটির ১৭টি স্থানে প্রায় ১৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর আগে ভারত বায়োটেক এর 'কোভ্যাক্সিন' ও জায়ডুস ক্যাডিলার 'জেডকোভ-ডি' নামের দুইটি প্রতিষেধকের ট্রায়াল হয়ে গেছে। আর এখন চলছে জেনার ইন্সটিটিউট ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার 'কোভিশিল্ড' এর ট্রায়াল।
অন্যদিকে, পিফাইজার ও মডার্নাও ইতোমধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১৭৫টি করোনা প্রতিষেধক চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
এদিকে সিরাম ইন্সটিটিউটের উৎপন্ন ভ্যাকসিনটি আগামী ৭৩ দিনের মধ্যে বাজারে আসছে বলে গণমাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নাকচ করে দেন আদার পুনাওয়ালা। নিজের টুইটার থেকে করা এক পোস্টে তিনি বলেন, 'সম্প্রতি গণমাধ্যমে ভ্যাকসিনটি বাজারজাতকরণ নিয়ে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ভারত সরকারের কাছ থেকে আমরা ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছি। এখন আপাতত উৎপাদন শেষ হলে আমরা ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি মানব শরীরের জন্য কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি বাজারে আমরা আনব না। বররতমানে জেনার-অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনটির মানব শরীরে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। চূড়ান্ত কার্যকর হওয়ার রিপোর্ট পেলেই অফিসিয়ালি আমরা এর প্রাপ্যতা ঘোষণা করব'।