এ জীবন মানুষের, যন্ত্রের…
১.
অদ্ভুত এক সময়ে আমাদের বসবাস। সুদূর কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলে ফেলেছে মানুষ। আবিষ্কার করেছে জীবনের নীল নকশা—জিন সম্পাদনার কাঁচি: ক্রিসপার। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছে রোবোটিক গাড়ি—ইংরেজিতে এক কথায় যাদের বলে রোভার। আমাদের চারপাশেও এখন রোবটের ছড়াছড়ি। এই রোবটেরা ঘর পরিষ্কার করতে পারে, গাড়ি চালাতে পারে, নিশ্চিন্তে নিষ্ক্রিয় করতে পারে ভয়ংকর বোমা। আবার জীবন বাঁচানোর জন্য সুক্ষ্ম অপারেশনও করতে পারে প্রয়োজনে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) জোরে বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজেও এই রোবটেরা অনেক এগিয়ে গেছে। বৈশ্বিক সব সমস্যা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দুঃসময়েও হচ্ছে রোবটের ব্যবহার। এসব দেখে প্রশ্ন জাগে, কেমন হবে আমাদের ভবিষ্যতের দিনগুলো?
আমাদের আয়ুষ্কাল হয়তো বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। দেহের বিকল অঙ্গের জায়গা নেবে কৃত্রিম, সিন্থেটিক অঙ্গ। ন্যানো ও ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহ্যার করে জিন থেকে ছেঁটে ফেলা যাবে বিভিন্ন রোগ। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর অনেক অনুমান আজ বাস্তব। যুক্তি বলছে, এগুলো বাস্তব হতেও আর বেশি দেরী নেই।
এরকম সময়ে কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। চালক, শ্রমিক কিংবা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসবে অনেকাংশে। বদলে যাবে আমাদের শেখার পদ্ধতিও। হয়তো আমাদের মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ইত্যাদি বাড়িয়ে তোলা যাবে কৃত্রিমভাবে। প্রচুর পরিমাণ তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করা ও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া শেখাতে হলে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এরকম কৃত্রিম, রোবটিক এক সমাজে কেমন হবে মানবিক সম্পর্কগুলো? কেমন হবে প্রেম ও বন্ধুত্ব? কীভাবে আমরা সন্তানদের বড় করব? রোবট ও মানুষের যুগপৎ এ সভ্যতা কতদূর মিলে-মিশে যাবে পরষ্পরের সঙ্গে?
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখকদের মতো আজকের বিশ্ব নাগরিকরাও ভাবেন এ নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি আদৌ মানুষের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারবে? সত্যিকার কোনো সম্পর্ক কি গড়ে উঠবে মানুষ ও রোবটের মধ্যে? আরো বড় কথা, মানব দেহ ও মস্তিষ্ক যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স প্রযুক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়, বিদায় নেয় রোগ-জ্বরা, তাহলে মানুষ কি আদৌ মানুষ থাকবে? কী হবে তখন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অর্থ? এটা বুঝতে হলে সবার আগে আমাদের জানতে হবে, যন্ত্র কীভাবে শেখে।
২.
যন্ত্র শেখে উদাহরণ দেখে দেখে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভাষায় এর একটা নাম আছে—মেশিন লার্নিং (Machine Learning)। সহজ ভাষায়, যন্ত্রকে যে কাজটা শেখানো দরকার, সেটার এক গাদা উদাহরণ মেলে ধরা হয় তার সামনে। অর্থাৎ ইনপুট দেওয়া হয়। এসব ইনপুট দেখে সে বোঝার চেষ্টা করে, ধাপে ধাপে কীভাবে কাজটা করতে হবে। যেমন ধরুন, একটা রোবটকে আপনি চা বানাতে শেখাতে চান। চা বানানোর বেশ কিছু ভিডিও ধরিয়ে দিলেন তাকে, চিনিয়ে দিলেন উপকরণগুলো। এবারে ভিডিও দেখে, বিশ্লেষণ করে সে বুঝতে পারবে চা-টা কীভাবে বানাতে হবে। পানি আগে গরম করতে হবে, নাকি চিনি। এই একই প্রক্রিয়ায় কিন্তু বিমানবন্দরের টিকেট বুকিং কাউন্টারে দায়িত্ব পালনের জন্যেও প্রস্তুত করা যাবে রোবটকে। ভিডিও দেখে, তথ্য বিশ্লেষণ করে সে বুঝবে, কোন প্রশ্নটা তাকে আগে করতে হবে, আর কোনটা পরে। বর্তমানে মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে যন্ত্রদেরকে কাজ করতে শেখানো হচ্ছে নিয়মিতই।
একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, এই কাজগুলো একদম বাঁধা ধরা। চা বানানো বা টিকেট বুকিং দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু ধাপ আছে। অর্থাৎ সার্কাসে যেমন বিভিন্ন প্রাণিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এখানেও আমরা তাই করছি। তবে সার্কাসের প্রাণিরা তাদের প্রশিক্ষণের বাইরে গিয়ে কিছু করে বসতেও পারে। প্রশিক্ষিত যন্ত্র তা করবে না।
কিন্তু যন্ত্র ও মানুষের যুগপৎ সভ্যতা গড়ে ওঠার জন্য যন্ত্রের আরো স্বতঃস্ফূর্ত হওয়া প্রয়োজন। একটা উদাহরণ দেই। ধরুন, আপনার একটা পোষা রোবট-বিড়াল আছে। এখন, এই বিড়ালটা কিন্তু খেলনা বিড়ালের মতো হলে চলবে না। শুধু চাবি দিলে দুই পা তুলে মিউ মিউ করলেই হবে না। বাস্তবের বিড়ালের মতো এর ভেতরে একটা তাড়না থাকতে হবে। এমন ধরনের স্মৃতি (Memory) থাকতে হবে, যা বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মনে রাখতে পারে, সেখান থেকে শিখতে পারে। লেজ ফুলিয়ে শুয়ে থাকা কিংবা আদর পেলে গ্যাঁট হয়ে বসার মতো স্বতঃস্ফূর্ত আচরণগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠতে হবে আপনার বিড়ালের মধ্যে। নাহয় বিড়ালের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খুব বেশিদূর আগাবে না। এক সময় খেলনায় আর চাবি দিতেও ইচ্ছে হবে না তখন।
শুনতে সহজ মনে হলেও, প্রকৌশলবিদ্যা ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এরকম একটা বিড়াল তৈরি করতে গেলেই কিন্তু খবর হয়ে যাবে। সে হিসাবে, বুঝতেই পারছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ইত্যাদি বাড়িয়ে তোলা, প্রয়োজনমতো কৃত্রিম অঙ্গ দিয়ে বিকল অঙ্গ বদলে দেওয়া অনেক দূরের কথা!
আসলে, ঝামেলা এখানে একটা না, অনেকগুলো। প্রথমত, এ ধরনের রোবট বা যান্ত্রিক অঙ্গানুর জন্য বিদ্যুৎ লাগবে প্রচুর। টুকিটাকি, নির্দিষ্ট কোনো কাজ করার জন্য সেই বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হয়তো যায়। কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত কোনো যন্ত্র পোষার জন্য ওই পরিমাণ বিদ্যুতের যোগান দেওয়াটা খুব সহজ কথা না। আবার, এই বিদ্যুৎ-নির্ভরতাই জৈব কিছুর সঙ্গে যান্ত্রিক কিছু জুড়ে দেওয়াটা অনেক কঠিন করে তুলেছে।
পেসমেকার লাগালেও ভেতরে একটা ব্যাটারি লাগিয়ে রাখতে হয়। বুঝতেই পারছেন, মস্তিষ্কের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র কিংবা কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস চালাতে হলেও সেরকম একটা বিদ্যুতের উৎস লাগবে। এই উৎস কিন্তু আপনার স্বাধীনতা কেড়ে নেবে অনেকটাই। সারাদিন চালানোর পর রিচার্জ না করলে মোবাইল যেমন বন্ধ হয়ে যায়, তেমনি সময়মতো চার্জ না দেওয়া হলে আপনিও বন্ধ হয়ে যাবেন হুট করে!
তৃতীয় সমস্যাটা হলো, যন্ত্রের স্বতঃস্ফূর্ত ভাব প্রকাশ। মানুষ মুখে যা বলে, হাত-পায়ের নাড়াচাড়া, চেহারার ভঙ্গি ইত্যাদিতে বলে এর দশগুণ। একে বলে নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন। ঠিক এ কারণেই বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে আপনি মজা পান। টিকেট বুকিং এর জন্য যন্ত্র হয়তো আপনাকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রশ্ন করে কাজ করে দিতে পারবে, রোবট-সার্জন হয়তো অপারেশনের সুক্ষ্ম কোনো ধাপে নিখুঁত কাজ দেখাতে পারবে নিশ্চিন্তে, কিন্তু নন-ভার্বাল কমিউনিকেশনের অভাব পুরো আড্ডায় একদম পানি ঢেলে দেবে যন্ত্র। হাজারটা উদাহরণ গিলিয়েও এ জিনিস যন্ত্রকে শেখানো অত সহজ না। কথা হলো, জিনিসটা কি অসম্ভব? তাত্ত্বিকভাবে এর উত্তর হচ্ছে, না।
৩.
আবারো উদাহরণ। ধরুন একটা রোবটকে আপনি বোঝাতে চান, শান্তি বা আরাম জিনিসটা কী। মানুষ শান্তিতে থাকলে কেমন বোধ করে। এটা কীভাবে বোঝাবেন আপনি তাকে? অনেক অনেক তথ্য ইনপুট দিতে হবে। সেটা শুধু ভিডিও না, হতে পারে ছবি, তাদের হৃৎপিণ্ডের ওঠানামা, নিঃশ্বাস ফেলার ধরন, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে শান্তিতে থাকা অবস্থায় মানুষের বিভিন্ন তথ্য যেমন তাকে দিতে হবে, তেমনি শান্তি না থাকলে মানুষ কীভাবে নিঃশ্বাস ফেলে, কীরকম আচরণ করে—সেসবও জানাতে হবে তাকে। যন্ত্র এবার এসব তথ্য বিশ্লেষণ করবে। মানুষের প্রতিটা সুক্ষ্ম আচরণ, দেহভঙ্গি, কথা বলার ধরন ইত্যাদি সে চিহ্নিত করবে। এভাবে সে একটা অ্যালগরিদম তৈরি করে নেবে। সহজ কথায়, অ্যালগরিদম হচ্ছে একটা কাজের প্রতিটা ধাপ। চা বানানোর উদাহরণ দিতে গিয়ে আমরা এই ধাপে ধাপে কাজ করার ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেছি।
এবারে যন্ত্র সেই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শান্তিতে থাকলে মানুষ যেরকম আচরণ করে, সেরকম আচরণ করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে সে বারবার ভুল করবে। তাকে সেই ভুলটা ধরিয়ে দিলে সে তার আচরণ আরেকটু নিখুঁত করে তোলার চেষ্টা করবে। ইংরেজিতে যাকে বলে, অ্যালগরিদমের অ্যাকিউরেসি বাড়ানো। এভাবে করে মানুষের আচরণ অনেকটাই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে যন্ত্র।
এর সঙ্গে যদি অ্যালগরিদমে কিছু র্যান্ডম ব্যবহার ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তাহলেই পুরো ব্যাপারটা অনেক স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে উঠবে। এটাকে বলে স্মার্ট ট্রিক। যেমন, গল্প করতে গিয়ে যদি দেখেন, আপনার রোবট বন্ধুটা দাঁত দিয়ে নখ কাটার চেষ্টা করছে, কিংবা রোবট-বিড়ালটা আদর পেয়ে আপনার মুখে লেজ বুলিয়ে দিচ্ছে—তাহলে ওটাকে নিষ্প্রাণ যন্ত্র বলে চট করে ধরে নিতে বোধ হয় একটু কষ্টই হওয়ার কথা, তাই না?
তবু, 'কিন্তু' রয়েই যাচ্ছে। দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো কিছু বৈশিষ্ট্য এক-দুইদিনের জন্য হয়তো তার যান্ত্রিক সত্ত্বাকে আড়াল করে রাখতে পারবে, কিন্তু সেটা কতদিন? যে রোবটের সঙ্গে আপনি আড্ডা দিচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনার সত্যিকার একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠতে হলে প্রয়োজন হবে আরো অনেক কিছুর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার আচরণে একটা স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তন আসতে হবে। আপনারা দুজন কোন সময় কী পরিস্থিতিতে আছেন, সেটা বুঝতে পারতে হবে। সে অনুসারে আচরণ করতে হবে, দেখাতে হবে প্রতিক্রিয়া। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, আড্ডার বাঁকে বাঁকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে তাকে। অর্থাৎ, আপনার সঙ্গে তাকে একটা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ক্ষেত্রবিশেষে আবেগি সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য তার নিজের সেরকম একটা ব্যক্তিত্ব থাকা লাগবে।
একটা বাস্তব উদাহরণের কথা ভাবুন। আপনি হয়তো স্কুলে গিয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করেন না। আপনার বাবা-মা সে কথা জানতে পারলেন। তারা আপনাকে বোঝানোর সময় কী করবেন? তাদের ব্যক্তিত্ব দিয়ে আপনাকে প্রভাবিত করতে চাইবেন। আবেগ খাটাবেন। সেই সঙ্গে আসবে তাদের অতীতের কথা, আপনার পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থান, সংস্কৃতি, মনস্তাত্বিক প্রভাব ইত্যাদি। আপনার সঙ্গে সত্যিকার আলোচনা করতে চাইলে যন্ত্রের ব্যক্তিত্বেও কিন্তু থাকতে হবে এর সব কয়টা। পরিস্থিতি সাপেক্ষে যুক্তির বাইরে গিয়ে অযৌক্তিক কাজটাই কিন্তু করতে হবে থাকে।
যেমন ধরুন, কালকে আপনার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অফিসের কাজ বা পরীক্ষা আছে। অথচ একটু আগে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা ফোন করে জানিয়েছে, কালকে সে আপনার সঙ্গে ঘুরতে যেতে চায়। এ সময় যুক্তি মেনে আপনি কিন্তু অফিস বা পরীক্ষা দিতে যাবেন না। অযৌক্তিক কাজটাই করবেন।
মানুষের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তুলনা করলে, এখানে এসেই যন্ত্রের জন্য ব্যাপারটা অনেক জটিল হয়ে যায়। সেজন্যই আমাজনের অ্যালেক্সা বা অ্যাপলের সিরির সঙ্গে বিভিন্ন কাজ নিয়ে কথা বলতে পারবেন আপনি, প্রশ্ন করতে পারবেন, খুঁজে দিতে বলতে পারবেন কিছু একটা। কিন্তু বড়জোড় আধাঘণ্টা থেকে এক ঘন্টার মতো কথা বলার পর দেখা যাবে, কথাবার্তা আর এগুচ্ছে না। মুখ থুবড়ে পড়ছে সব অ্যালগরিদম।
আসলে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ও সম্পর্ক অসম্ভব জটিল একটা ব্যাপার। শুধু যুক্তি, কিছু উদাহরণ ও অ্যালগিরদমের ছকে একে বাঁধার উপায় আমরা এখনো আবিষ্কার করতে পারিনি। হ্যাঁ, বর্তমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানুষের মস্তিষ্ক থেকেই অনুপ্রাণিত। মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মানব মস্তিষ্কের ধারে-কাছেও নেই বর্তমান সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
যন্ত্র তাই আমাদের সহযোগী হয়েই থাকবে বড়জোড়। হ্যাঁ, স্বয়ংক্রিয় বিভিন্ন কাজে যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে উঠবে (পড়ুন উঠছে)। কর্মক্ষেত্র বা আমাদের জীবন যাত্রায় প্রবল প্রভাবও পড়বে এর। কিন্তু যন্ত্রের সীমানা পেরিয়ে জীবন হয়ে ওঠার দৌড়ে এখনো অনেক, অনেক দূরেই রয়ে গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। খুব নিকট ভবিষ্যতে কাছাকাছি আসতে পারবে বলে মনেও হয় না।