পুরুষদের বিপিএল শেষেই নারীদের বিপিএল
অনেক দাবির ভিড়ে নারী ক্রিকেটারদের একটি চাওয়া ছিল পুরুষদের মতো একটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন। তাদের সেই চাওয়া অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। পুরুষদের চলমান বিপিএল শেষেই নারীদের বিপিএলের প্রথম আসর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
ঢাকার প্রথম পর্ব ও সিলেট পর্ব শেষে বিপিএল এখন চট্টগ্রামে। সাগর পাড়ের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। প্রথম ম্যাচের পর মেয়েদের বিপিএল আয়োজন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাজমুল আবেদীন। নানা বাস্তবতা বিবেচনায় তিনটি দল নিয়ে প্রথম আসর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। টুর্নামেন্টের নাম হবে উইমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউবিপিএল)।
ছেলেদের বিপিএলের পর্দা নামবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এর পরপরই মাঠে গড়াবে নারীদের আসরটি। টুর্নামেন্টটি আট-নয় দিনের হবে জানিয়ে নাজমুল আবেদীন বলেন, 'বোর্ড বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছিল আমরা নারীদের ক্রিকেটকে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেই বিষয়টাকে মাথায় রেখে নারীদের জন্য একটা বিপিএল করা যায় কিনা, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা ছিল।'
আলোচনায় থাকা টুর্নামেন্টটি নিয়ে আজ শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নাজমুল আবেদীন। তিনি বলেন, 'আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা সেটা (নারী বিপিএল) করব। উইমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আমরা আয়োজন করব। তিনটি দল নিয়ে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বিপিএল শেষ হওয়ার পরপরই অনুষ্ঠিত হবে। এর সময়সীমা থাকবে ৮-৯ দিনের মধ্যে।'
ইতোমধ্যে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখিয়েছে আসরটিতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে। টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে বিসিবি দেখতে চায়, নারীদের টি-টোয়েন্টিতে আসরটি কেমন প্রভাব ফেলে। নাজমুল আবেদীনের ভাষায়, 'আমরা এরই মধ্যে কিছু ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা দিয়ে আমরা শুরুটা করতে চাই। দেখতে চাই, নারীদের এই প্রতিযোগিতা যদি সামনে নিয়ে আসি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেটার প্রভাব কী রকম হয়। আমরা আশা করছি, এটা নারীদের ক্রিকেটকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে।'
আপাতত প্রথমবারের মতো নারীদের টুর্নামেন্টটি আয়োজন করাই মূল লক্ষ্য, আপাতত মান নিয়ে সেভাবে ভাবছে না বিসিবি। এ কারণে পুরুষ বিপিএলের মতো নারীদের টুর্নামেন্টটিতে খুব বেশি বিদেশি ক্রিকেটার থাকবে না। নাজমুল আবেদীন বলেন, 'মানসম্পন্ন টুর্নামেন্ট করতে যে ধরনের ক্রিকেটার দরকার, এর চেয়ে বেশি দল হলে আমার মনে হয় না সেটা করা সম্ভব। এটাই বড় কারণ। ৪ দল নিয়ে করার কথাও ভাবনায় ছিল। কিন্তু সেটাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
'বিদেশি বেশি নয়। কারণ, এখানে আর্থিক একটা বিষয় আছে। চার জন বিদেশি যদি নিতে চাই আমরা, সেক্ষেত্রে দলগুলোর ওপর একটা আর্থিক চাপ পড়বে। এই মুহূর্তে হয়তো দলগুলো সেই চাপটা নিতে চাচ্ছে না। আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের যে দেশি ক্রিকেটার আছে, তাদেরও বেশি সুযোগ দেওয়ার পথে হাঁটতে চাই। তাই আমরা দলটা চারটা না করে তিনটা করেছি। যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো হয়। এই খেলার পর আমরা যেন বলতে পারি, আমাদের মেয়েরা পরের একটা ধাপে উন্নীত হয়েছে।' যোগ করেন তিনি।