ট্রাম্প কেন গাজা দখল করতে চান এবং তিনি কি পারবেন?
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/06/topshot-us-israel-diplomacy-netanyahu-trump-7_1738721155876_1738721171745.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা 'নিয়ে নেওয়া' এবং 'মালিকানা' দাবি করে সেখানকার জনগণকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েছে।
এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং যুদ্ধপরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ মাসের সংঘাতের পর গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ইসরায়েলের পাশাপাশি গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে ভেঙে দিতে পারে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মন্তব্য করেন, "এই ধারণাটি মনোযোগ দেওয়ার মতো।" তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব আরব দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্প একজন প্রোপার্টি ডেভেলপার হিসেবে তাঁর মিলিয়ন ডলারের সম্পদ গড়েছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি একটি পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি যদি গাজাকে পুনর্নির্মাণ করতে চান তাহলে সে স্থান একেবারে নতুন করে গড়তে হবে। এসময় হাজার হাজার মানুষকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশ্রয় দেওয়া কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
গাজা পুনর্নির্মাণের কাজ হবে বিশাল পরিসরের। অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ ও ধ্বংসস্তূপের পাহাড় সরিয়ে ফেলতে হবে। পানির পাইপলাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করতে হবে। স্কুল, হাসপাতাল ও দোকানপাট পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, এটি সম্পন্ন হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। আর সেই সময়ে ফিলিস্তিনিদের কোথাও না কোথাও থাকতে হবে।
তবে তাদের গাজার মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে রাখার মতো কোনো উপায় খোঁজার পরিবর্তে, ট্রাম্প বলছেন তাদের স্থায়ীভাবে চলে যেতে উৎসাহিত করা উচিত।
ট্রাম্পের বিশ্বাস, তাদের অনুপস্থিতিতে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসবে এক মনোরম, আমেরিকা-নিয়ন্ত্রিত 'মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা' যা হাজার হাজার কর্মসংস্থান, বিনিয়োগের সুযোগ এবং শেষ পর্যন্ত 'বিশ্ববাসীর বসবাসের উপযোগী এক স্থান' হিসেবে গড়ে উঠবে।
ট্রাম্পের মন্তব্য এত বিতর্কিত কেন?
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিকে ওলট-পালট করে দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের একটি বড় অংশ ছিল। তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতির মতো পদক্ষেপ এর উদাহরণ। তবে সেসবের পরও, তার সাম্প্রতিক প্রস্তাব একেবারেই বিস্ময়কর।
একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অংশ দখল করে এর জনগণকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধান করবেন, এমনটা কারও কল্পনাতেও আসেনি।
পরিষ্কারভাবে বললে, এই পরিকল্পনা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
কিছু ফিলিস্তিনি হয়তো গাজা ছেড়ে অন্য কোথাও নতুন জীবন গড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়েছেন।
কিন্তু অনেকেই গাজা ছেড়ে যেতে চান না বা পারেন না। কারণ তাদের আর্থিক সামর্থ্য কম অথবা জন্মভূমি গাজার প্রতি তাদের গভীর আবেগ জড়িয়ে আছে।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় অনেক গাজাবাসীই তার পূর্বপুরুষদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই সময়কালকে নাকবা (আরবি শব্দ, যার অর্থ 'বিপর্যয়') বলে অভিহিত করেন।
আরেকটি নাকবার আশঙ্কা অনেকের জন্য অসহনীয় হবে এবং তারা গাজার অবশিষ্টাংশে তাদের সংকুচিত জীবন আকড়েই বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন।
যেসব ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের পাশাপাশি নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য এর একটি অংশ হারানো যেন শরীরের কোনো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো বেদনাদায়ক হবে।
গাজা ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম তীর থেকে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন। পূর্বের বিভিন্ন শান্তি আলোচনা, পাশাপাশি ট্রাম্পের ২০২০ সালের ভিশন ফর পিস পরিকল্পনায় দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করতে টানেল বা রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
এখন, ট্রাম্প মূলত ফিলিস্তিনিদের গাজা চিরতরে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন।
তবে তিনি সরাসরি জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কথা বলছেন না। কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তবে তিনি ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে উৎসাহিত করছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারা তাদের হাজার কাফেলাকে গাজায় ফিরে যেতে দিচ্ছে। এ কাফেলারা চাইলে গাজার কম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আশ্রয় নিতে পারতো।
আরব দেশগুলোকে মূলত মিসর ও জার্ডানকে ১৮ লাখ গাজার শরণার্থীকে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের গাজা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা।
এই দেশগুলোর নিজেদেরই প্রচুর অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে, যার সঙ্গে নতুন এই বোঝা যুক্ত করা তাদের জন্য আরেকটি সংকট তৈরি করবে।
গাজা ১৯ বছর ধরে মিসরের দখলে ছিল, এরপর ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে এটি ইসরায়েল দখল করে নেয়।
আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে গাজা এখনও ইসরায়েলের দখলাধীন বলে বিবেচিত হয়, যদিও ইসরায়েল এ দাবির বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মতে, ২০০৫ সালে তারা একতরফাভাবে ইহুদি বসতি গুঁড়িয়ে দিয়ে এবং সেনা প্রত্যাহার করার মাধ্যমে গাজায় দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছে।
জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ গাজাকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো তা স্বীকৃতি দেয়নি।
গাজার স্থলভাগ বেড়া দিয়ে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে এবং সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ইসরায়েল। যার কারণে ফিলিস্তিনকে কখনোই একটি পুরোপুরি স্বাধীন স্থান বলে মনে হয়নি।
ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া কিছুই বা কেউই গাজায় প্রবেশ বা প্রস্থান করতে পারেন না। ১৯৯৮ সালে বিশাল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খোলা হয়েছিল। তবে ২০০১ সালে ২য় বারের মতো বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে ইসরায়েল সেটি ধ্বংস করে দেয়।
২০০৬ সালে হামাস ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এবং পরবর্তী বছর আঞ্চলিক সহিংসতার কারণে প্রতিপক্ষদের বের করে দেওয়া হলে ইসরায়েল ও গাজা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গাজার উপর অবরোধ আরোপ করে।
এ সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরুর আগেই, ফিলিস্তিনিরা গাজাকে একটি খোলা কারাগার হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে।
ট্রাম্প কি গাজা দখল করতে পারবেন?
এটি বলাই বাহুল্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা ভূখণ্ডের উপর কোনো আইনি অধিকার নেই এবং এটি মোটেও স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্প কীভাবে সেখানে আমেরিকার শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।
গ্রিনল্যান্ড বা পানামা ক্যানাল নিয়ে তার আগের দাবির মতো, এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্প সত্যিই এটি মানছেন, নাকি গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠিন আলোচনা শুরুর আগে একটি অদ্ভুত এবং অপ্রত্যাশিত দরকষাকষির অবস্থান হিসেবে এমন মন্তব্য করেছেন।
গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা আলোচনা হয়েছে।
ডিসেম্বরে, ফিলিস্তিনের দুটি প্রধান গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ গাজার শাসন ব্যবস্থার তদারকি করার জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এই চুক্তি এখন পর্যন্ত কিছুই ফলপ্রসূ হয়নি।
অন্যান্য সময়ে, আলোচনা হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের যা সম্ভবত আরব দেশের সেনাসদস্যদের নিয়ে গঠন করা হতে পারে।
গত মাসে রয়টার্স জানায়, পশ্চিম তীরের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্যালেস্টাইন অথরিটি (পিএ) গাজায় ক্ষমতা গ্রহণের সক্ষমতা পুরোপুরি না তৈরি হওয়া পর্যন্ত একটি অস্থায়ী প্রশাসন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছে ইউএই, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল।
তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, যুদ্ধ পরবর্তী গাজা শাসনে পিএ-এর কোনো ভূমিকা থাকবে না।
ইতোমধ্যে মার্কিন বাহিনীর সীমিত সংখ্যক সদস্য গাজায় এসে পৌঁছেছেন। একটি মার্কিন নিরাপত্তা কোম্পানি গাজা সিটির দক্ষিণে একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্টে প্রায় ১০০ জন সাবেক মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছে। তারা গাজার উত্তরদিকে ফিরতে থাকা ফিলিস্তিনিদের গাড়িতে অস্ত্রের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সেখানে কিছু মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মীদেরও দেখা গেছে।
এগুলো হচ্ছে গাজার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিশেষ করে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন প্রথম পদক্ষেপ।
তবে একে মার্কিন দখলদারিত্বের সূচনা বলা যাচ্ছে না। কারণ এ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বড় পরিসরে সামরিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে। কিন্তু ট্রাম্প শুরু থেকেই তার ভোটারদের বলে এসেছেন, তিনি এমন কিছু এড়াতে চান।
ইসরায়েল-হামাস অস্ত্রবিরতি বিষয়ক আলোচনা
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দুই সপ্তাহের অস্ত্রবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। তবে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যগুলোর কারণে আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে না।
যদি হামাস মনে করে, এ পুরো প্রক্রিয়ার শেষ পরিণতি হবে গাজাকে শুধু হামাস শূন্য নয় পুরো জনশূন্য করা তাহলে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যাদের অপহরণ করেছিল তাদের আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
নেতানিয়াহুর সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, তিনি আলোচনাগুলোকে ব্যর্থ করতে এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার অজুহাত খুঁজছেন। তারা তাদের মন্তব্যের উপসংহার টানতে চাচ্ছেন ট্রাম্প একজন স্বেচ্ছাসেবক সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ডানপন্থি সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের অধিগ্রহণ পরিকল্পনাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কারণ এর মাধ্যমে তারা মন্ত্রিসভা থেকে নিজেদের পদত্যাগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন এবং নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও দৃঢ় করতে পারবেন।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে অস্ত্রবিরতি বজায় রাখার জন্য একটি শক্ত প্রেরণা দিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম তীর সম্পর্কে কী বলেছেন?
পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া উচিত কিনা এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেননি, তবে চার সপ্তাহ পর তিনি একটি ঘোষণা দিবেন।
এই মন্তব্যটি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন এ ঘোষণা তাদের জন্য আরেকটি আঘাত হয়ে আসতে পারে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনাগুলোর বৈধতার পরিণতি ভালো হবে না। কারণ বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ দেশ একে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে মনে করে। যদিও শুরু থেকে ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে আসছে।
পূর্ববর্তী শান্তি আলোচনায়, আলোচকরা স্বীকার করেছেন যে, ইসরায়েল শেষ চুক্তির অংশ হিসেবে বড় বসতি অঞ্চলগুলো ধরে রাখতে পারবে। কিন্তু ছোট গুলোকে অঞ্চল পরিবর্তন করতে হতে পারে।
২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির মধ্যস্থতা করেন ট্রাম্প। এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল এবং দুটি আরব দেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য মধ্যস্থতা করা হয়।
ইউএই এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এই শর্তে যে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখল করবে না। কিন্তু সেই চুক্তি মনে হচ্ছে ভেস্তে যেতে পারে।