অবশেষে জয়ের স্বাদ পেলেন মুশফিকরা
হারে শুরু হওয়ার পর কেবল হতাশাই সঙ্গী হচ্ছিল বেক্সিমকো ঢাকার। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে হেরেই যাচ্ছিল মুশফিকুর রহিমের দল। অবশেষে হারের বৃত্ত ভেঙেছে ঢাকা। বুধবার ফরচুন বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের স্বাদ পেল দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ফরচুন বরিশাল। ২৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে তামিম ইকবালের দল আর ছন্দে ফিরতে পারেনি। ম্যাচসেরা রবিউল ইসলাম রবির স্পিন ঘূর্ণিতে ৮ উইকেট ১০৮ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। এই রান তুলতেই ঘাম ছুটে যায় বেক্সিমকো ঢাকার। ১৯তম ওভারে জয় নিশ্চিত হয় মুশফিকের দলের।
২০ ওভারের ম্যাচে ১০৯ রান নিশ্চয়ই বড় লক্ষ্য ছিল না বেক্সিমকো ঢাকার জন্য। এই রান তাড়াতেও ভালো শুরু করতে পারেনি ঢাকা। দলীয় ৭ রানেই ফিরে যান ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। রান আউটে কাটা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিছুক্ষণ পর মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে বিদায় নেন নাঈম শেখও।
তানজিদ হাসান তামিমকে সাবলীল দেখালেও তিনি ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন তরুণ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বি। ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে ম্যাচ ১৯তম ওভার পর্যন্ত গড়ায়।
১৯তম ওভারে বোলারদের আর সমীহ দেখাননি ইয়াসির আলী। বরিশালের পেসার তাসকিনের করা ওভারে দুই ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রানের হার না নামা ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ৩৪ বলে একটি চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। বরিশালের পক্ষে একটি উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরআগে ব্যাটিং করা ফরচুন বরিশাল দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায়। এই উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপ। প্রথম উইকেট নেওয়া ঢাকার স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি বরিশালকে চেপে ধরেন, ফিরিয়ে দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে।
এক পাশ আগলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তামিমকেও সাজঘরে ফেরান রবিউল ইসলাম। ম্যাচসেরা রবিউলের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক।
এরপর তৌহিদ হৃদয়ের ৩৩ রান বরিশালকে ১০০ পেরিয়ে দেয়। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১২ রান। ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া শফিকুল ইসলাম ২টি এবং রুবেল হোসেন ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট পান।