আশা ছাড়ছেন না মুশফিকদের কোচ
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ভালো সময় যাচ্চে না বেক্সিমকো ঢাকার। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি পরের দুই ম্যাচেও হেরে যায়। চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা। সেরা চারে থাকার পথটা ইতোমধ্যে কঠিন হয়ে গেছে তাদের জন্য। তবে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন আশা ছাড়ছেন না, বিশ্বাস রাখছেন দলের খেলোয়াড়দের প্রতি।
বিসিবির পরিচালক ও বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তার দল এরচেয়ে অনেক ভালো খেলতে পারবে। যে কারণে এখনই আশাহত না হয়ে দলের খেলোয়াড়দের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন তিনি।
খালেদ মাহমুদ বলেন, 'আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি, সেটা আমাদের খেলাই বলে দিচ্ছে। চার ম্যাচে মাত্র একটা জিতেছি। তারপরও আমি বিশ্বাস রাখতে চাই। কারণ আমি ছেলেদের মধ্যে অনেক মেধা দেখেছি, সামর্থ্য আছে তাদের মধ্যে। আমি মনে করি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, আমাদের পুরো ব্যাটিং সামর্থ্য দেখাতে পারলে, আমরা এর চাইতে ভালো দল সত্যি বলতে।'
টানা হারে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের দল ঢাকা। মাঠের লড়াইয়ে দাপুটে হতে হন্যে হয়ে জয়ের খোঁজ করেছিল তারা। চতুর্থ ম্যাচে হলেও এই জয়টি দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ। যদিও জয় পাওয়ার ম্যাচেও ঢাকা প্রতিপক্ষকে সেভাবে কোণঠাসা করতে পারেনি। তারপরও ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের মানসিকতায় খুশি ঢাকার কোচ।
খালেদ মাহমুদ বলেন, 'মোমেন্টামটা খুব প্রয়োজন ছিল। প্রথম জয় পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। প্রথম তিন ম্যাচে কোনো পয়েন্ট নিতে পারিনি। কালকের ম্যাচটা লো স্কোরিং ছিল, উইকেট কঠিন ছিল, তবুও ছেলেরা যেভাবে খেলেছে আমি খুশি। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। দলের আত্ববিশ্বাসের জায়গাটা কিছুটা হলেও ভালো হয়েছে আগের তুলনায়।'
কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা মেলায় এবার পরের ম্যাচগুলোয় নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার কথা বলছেন ঢাকার কোচ। শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর মুখোমুখি হবে ঢাকা। প্রথম সাক্ষাতে রাজশাহীর বিপক্ষে ২ রানে হেরেছিল তারা। এই ম্যাচের আগে সেটাও মাথায় রাখছেন খালেদ মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'আমাদের পরবর্তী ম্যাচ রাজশাহীর সাথে। তাদের সাথে প্রথম ম্যাচে ২ রানে হেরেছিলাম। তারা খুব শক্ত দল, ভালো দল। আমি আমার দল নিয়ে আত্ববিশ্বাসী, ছেলেদের সামর্থ্য আছে। কিন্তু সেটা পুরোপুরি দেখাতে পারছে না, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে গত দুই ম্যাচ আমরা ভালো বল করেছি। যেটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। ফিল্ডিং নিয়ে আমাদের আরও ভাবার সুযোগ আছে। আমরা আরও ভালো ফিল্ডিং করতে পারি। কালকের ম্যাচে আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে চাই।'
