পল্লী বিদ্যুতায়নে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
দেশের গ্রামীণ এলাকায় টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে; শক্তিশালী সঞ্চালন ব্যবস্থা এবং বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ২০ কোটি ডলার অতিরিক্ত ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বাড়তি এ ঋণ চলমান 'বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম ইনহান্সমেন্ট অ্যান্ড এফিশিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট' এর পরিধি ৬১৬ মিলিয়নে উন্নীত করবে। ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের অর্থায়ন মঞ্জুর করে এডিবি।
এলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এডিবির সঙ্গে ঋণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় ঋণ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। আর এডিবির পক্ষে স্বাক্ষরকারী ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা - বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থায়ন) মো. খায়রুল ইসলাম প্রকল্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এডিবি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, গ্রামীণ এলাকায় জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ, শিল্প ও কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার মতো অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদাণে উন্নত বিদ্যুতায়ন সুবিধা প্রধানতম শর্ত।
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, নিরবিচ্ছিন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করোনা মহামারীর অভিঘাতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটতে উঠতে বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে। এর ফলে, খাদ্য সরবরাহ চক্র, ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন বাণিজ্য এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড শক্তি সরবরাহের আওতায় এসে উপকৃত হবে।
এছাড়া, প্রকল্পতি ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকলের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তা অর্জনেও সহায়ক হবে, তিনি যোগ করেন।
এডিবি অর্থায়নে স্থাপিত হবে অতিরিক্ত ৯৯০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের ৩৩ কিলোভোল্ট সক্ষমতার এবং ৩,০০০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের ১১ কিলোভোল্ট সক্ষমতার সরবরাহ লাইন, একাজে সহায়ক অন্যান্য স্থাপনা। এর মধ্যে ৫১ ইউনিট ৩৩ কেভি/১১ কেভি সাবস্টেশন স্থাপিত হবে খুলনা বিভাগের পল্লী এলাকায়। ফলে প্রায় দেড় লাখ গ্রামীণ গৃহস্থালি আসবে বর্ধিত সংযোগের আওতায়।