শামীমার ফিরে আসার ওপর যুক্তরাজ্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা
নাবালক অবস্থায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছাড়েন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। তাই তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। এবং ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দাবির আইনি লড়াইও চালাতে পারবেন না তিনি।
আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক প্যানেল সর্ব-সম্মতিক্রমে এ রায় দিয়েছেন। এতে শামীমার কোনো অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়নি বলেই বিবিসি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
শামীমার বর্তমান বয়স, ২১ বছর। ইতোপূর্বে, তার নাগরিকত্ব বাতিল করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যে ফিরে সেই সিদ্ধান্তকে আইনি চ্যালেঞ্জ করতে চান এ তরুণী।
বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার একটি শিবিরে সশস্ত্র প্রহরায় বন্দি তিনি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে শামীমা এবং উত্তর লন্ডনের আরও দুই স্কুল পড়ুয়া বালিকা যুক্তরাজ্যে ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদলে যোগ দেয়।
দুই বছর আগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তিতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেন।
এরপর গেল বছরের জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জারি করা রুলে জানানো হয়, সিরিয়ার ক্যাম্প থেকে শামীমা সঠিকভাবে তার আইনি লড়াই চালাতে পারবেন না। সেজন্য আগে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে দিতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যে সাথে সাথেই আপিল করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তি হিসেবে তারা বলে, "শামীমাকে ফিরতে দেওয়া হলে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।
এরপরই, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বিচারকদের বেঞ্চ সভাপতি লর্ড রিড বলেছেন, শামীমাকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার অধিকার ব্রিটিশ সরকারের রয়েছে।