মোদিবিরোধী বিক্ষোভ দু’দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কয়েকটি সংগঠনের আন্দোলন দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। সব মতের মানুষের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কেউ কেউ হয়তো মোদির সফরের বিরোধিতা করছেন। তবে দুই দেশের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ এতে খুশি।"
তিনি আরও বলেন, "প্রেসক্লাবের সামনে দুই-চার জন এনে বিক্ষোভ করলে কী হবে? দুই দেশের সম্পর্কে সেটির কোনো প্রভাব পড়বে না। রাষ্ট্রীয় অতিথি যারা ঢাকা সফর করছেন বা করবেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।"
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক মোদির আগমনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে ৫টিরও বেশি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "মোদির সফর মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে। তবুও আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় থাকবে। এক দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি যখন আরেক দেশে সফরে যান তখন এমন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় থাকে, এবারও থাকবে। ইতোমধ্যে কিছু বিষয়ে উভয় পক্ষ সমঝোতায় এসেছে। যেগুলো নিয়ে এখনও সমঝোতা আসেনি, সেগুলো নিয়েও দেন-দরবার চলছে।"
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৫ এর সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, কসভো ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতগণ প্রমুখ।