হলি আর্টিজান মামলা: ৭ জনের ফাঁসির আদেশ, ১ জন খালাস
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মামলার মোট ৮ আসামির ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বাকি ১ জনকে দেওয়া হয়েছে খালাস।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান রায় দেন।
এই মামলায় অভিযুক্ত ৭ আসামী জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগেন, মো আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেদ এবং মামুনুর রশীদ রিপনকে সন্ত্রাস বিরীধী আইন ২০০৯ এর ৬(২)(অ) ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
অন্য আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আলোচিত এই মামলার রায় ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। আইনজীবী ও গণমাধ্যম কর্মী ছাড়া আর কাউকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গত ১৭ নভেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় পুলিশ আট অভিযুক্ত জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রিপন কুমার দাসের ট্রাইব্যুনালের সামনে জবানবন্দি দেয়ার মাধ্যমে এ চাঞ্চল্যকর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
মামলায় আট অভিযুক্তের সবাই এখন কারাগারে আছেন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মাহমুদুল হাসান মিজান, সোহেল মাহফুজ, রাশিদুল ইসলাম ওরফে রায়াশ, বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ওই ক্যাফেতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ইতালির নয়জন, জাপানের সাতজন, ভারতের একজন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান একজন, বাংলাদেশি দুজন নাগরিক এবং দুজন পুলিশ সদস্যও নিহত হন।
হামলার পেছনে ২১ জন জড়িত ছিলেন বলে মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন।