চট্টগ্রামে টিকা সংকট, শুধুমাত্র এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের মজুদ সংকটের কারণে শুধুমাত্র এসএমএস পাওয়া টিকাগ্রহীতাদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। আজ (সোমবার) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
রোববার চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন কেন্দ্র টিকা না পেয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় আজ তিনি এ ঘোষণা দিলেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়, চট্টগ্রামের ফেসবুক পেজে আপলোড করা ওই ভিডিওবার্তায় সিভিল সার্জন বলেন, 'আমাদের কাছে যে ভ্যাকসিন আছে তা দিয়ে ঈদ পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আপনারা জানেন, যে পরিমাণ আমরা প্রথম ডোজ দিয়েছি, তার ৭০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে সরবরাহ করা হয়েছে এবং এই নীতিমালা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য। সে হিসেবে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না।'
শুধুমাত্র এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, 'ঈদের পরে নতুন ভ্যাকসিন আসার পর আমরা দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে পারব।'
'এই মুহূর্তে আমরা চট্টগ্রামবাসীর কাছে অনুরোধ করব, শুধুমাত্র যাদের কাছে এসএমএস যাবে, তারা ভ্যাকসিন সেন্টারে আসবেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে তাদের ভ্যাকসিন দিতে পারব। যারা এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে বলছি। তারা অবশ্যই ভ্যাকসিন পাবেন, আমরা আশ্বস্ত করছি। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।'
এর আগে রোববার সকালে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম নগরের সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালসহ নগরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচী বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে টিকা কেন্দ্রের সামনে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভেতরে ঢোকার পর বিভিন্ন অজুহাতে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে ৮ এপ্রিল থেকে। গত শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৭৭ জন। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, এমন প্রায় দেড় লাখ টিকাগ্রহীতা এখনো দ্বিতীয় ডোজ পাননি। কিন্তু চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে টিকা মজুত আছে মাত্র ২৭ হাজার ৩৮০ ডোজ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমাদের হাতে ভ্যাকসিন নেই। উপজেলাগুলোতে সীমিত সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অলমোস্ট বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দরকিল্লায় জেনারেল হাসপাতালে হয়তো আর এক-দুইদিন চলবে।'