আপাতত এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারবে না বাংলাদেশ
২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। তিন বছর পর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ এককভাবে আয়োজন করে। তবে অবগাঠামোর অভাবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এ কারণে আবারও যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পরিকল্পনার বিসিবির। তবে ৮ দলের চ্যম্পিয়ন্স ট্রফি একাই আয়োজন করার পরিকল্পনা বিসিবির।
মঙ্গলবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে এসব জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ১০টি ভেন্যু থাকতে হবে আয়োজক দেশের, যা বাংলাদেশের নেই। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হতে চেষ্টা করবে বিসিবি।
নাজমুল হাসান বলেন, 'এখানে বেশ কিছু সমস্যা আছে। পুরুষদের বিশ্বকাপ আয়োজনে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ১০টি ভেন্যু থাকতে হবে। এটা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ আমাদের এতো ভেন্যু নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনও আমাদের জন্য কঠিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে, এটা আমাদের জন্য ঠিক আছে। আমরা ঠিক করেছি এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য বিড করব।'
এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ নেই বলে আবারও সহ-আয়োজক হতে চায় বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ আয়োজক হওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। বিসিবি সভাপতি বলেন, 'ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা একা আয়োজন করতে পারব না। আমরা যৌথভাবে আয়োজনের চেষ্টা করব।'
'আমাদের ইচ্ছা উপ-মহাদেশে যারা আছে তাদের নিয়ে, মানে এসিসির অধীনে যেসব দেশ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা যদি একসঙ্গে বিড করি, তাহলে বিশ্বকাপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত আছে। এটায় সময় খুব কম, আমরা যাই করি না কেন দুই-একদিনের ভেতরে চূড়ান্ত করতে হবে।'
এরআগে বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের ৮ বছরের চক্রে এই পদক্ষেপ বাস্তবে রূপ দেবে আইসিসি। পুরুষদের ১০ দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১৪ দল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে হবে ২০। এ কারণে ভেন্যুর সংখ্যা বেড়েছে।