স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের চুক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ টিকা উৎপাদনের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কোনো প্রকার দেরি না করে শিগগিরই এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হবে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "চুক্তিপত্রটি আমাদের হাতে এসেছে, এখন এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এতে স্বাক্ষর করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিদ্রুত চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করা উচিত হবে বলেই আমি মনে করি।"
ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ সরকার, সিনোফার্ম এবং স্থানীয় একটি ওষুধ কোম্পানি (ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লি.) এতে স্বাক্ষর করবে।
তিনি বলেন, ইনসেপ্টা প্রতিষেধক কিনে এনে দেশে বোতলজাত, লেভেলিং ও ফিনিশিংয়ের কাজ করবে। স্থানীয়ভাবে এসব কার্যক্রম হওয়ায় টিকার দাম তুলনামূলকভাবে কম হবে।
চীন থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুসারে চীন বাংলাদেশকে কোনোপ্রকার বাধা ছাড়াই সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনে এ ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা থাকায়, বাংলাদেশ সরকার আগেভাগেই নিজস্ব চাহিদা সম্পর্কে চীনা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছে।
ড. মোমেন আরও বলেন যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আট কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এসময় নিজের ভাই ও সাবেক অর্থমন্ত্রী সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, তিনি অনেক শুকিয়ে গেছেন এবং ঠিকমতো খেতে ও ঘুমাতে পারছেন না।
"তিনি (মুহিত) দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। এটাই একমাত্র আশা। ৮৭ বছর বয়স হলেও তিনি এখনও দেশের একটি সম্পদ। আপনারা সবাই তাঁর জন্য দোয়া রাখবেন," যোগ করেন মোমেন।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন মুহিত। কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।