ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে সাকিব
আগে বলা হতো ছোট দলের বড় তারকা সাকিব আল হাসান। সে দিন ফুরিয়েছে, বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়। যেকোনো প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখেছে তারা। তবে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে আগের মতো করেই সাকিব হয়ে আছেন প্রাণ ভোমরা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রেকর্ড ভাঙা-গড়ায় খেলায় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার অনবদ্য।
মাইলফলক, রেকর্ড বা অর্জন; এ জাতীয় শব্দগুলো সাকিবের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেক রেকর্ডই নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার এবার দুটি মাইফলকের সামনে দাঁড়িয়ে। এর মধ্যে একটি অর্জনে ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে তার।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে একটি উইকেট পেলেই যৌথভাবে সাকিব হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।
কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২ উইকেটে নিয়ে মালিঙ্গার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন সাকিব, জাতীয় দলের হয়ে ৮৬ টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট ১০৬টি। আরেকটি উইকেটে মালিঙ্গার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আর ২ উইকেট পেলেই সাকিব উঠে যাবেন চূড়ায়। এককভাবে হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
এই ম্যাচে আরও কিছু মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের উইকেট ৫৯৮টি। আর ২টি উইকেট নিতে পারলে ক্রিকেট ইতিহাসের ২৩তম বোলার ও দ্বিতীয় বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মালিক হবে তিনি।
এ ছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে দারুণ এক রেকর্ডের মালিক হওয়ার পথে আছেন তিনি। ২ উইকেটে ৬০০ উইকেট ও ১২ হাজার রানের অনন্য এক ডাবলের মালিক হবেন তিনি। একমাত্র সাকিবই হবেন এই ডাবলের মালিক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কীর্তি নেই আর কোনো অলরাউন্ডারের।
এই ডাবলে সবচেয়ে কাছাকাছি ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার কপিল দেব। ৬৮৭টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক তিনি। কিন্তু তার রান ৯ হাজার ৩১। আবার জ্যাক ক্যালিসের ১০ হাজার রানের কোটা পূরণ থাকলেও নেই ৬০০ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অলরাউন্ডার ৫৭৭টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক।