রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে 'অজ্ঞাত' আসামীদের নামে মামলা
প্রত্যাবাসনকামী রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা করা হয়েছে। তবে, মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন দুর্বৃত্তের কথা উল্লেখ করে দায়ের করা মামলার বাদি নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয় বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ। এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে চিনতে পারার কথা দাবি করেছিলেন নিহতের ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গের বাইরে ৩০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কথিত আরসা ও আল-ইয়াকিন নেতা হিসেবে পরিচিত মাস্টার আবদুর রহিম, লালু ও মোরশেদকে চিনেছেন বলে উল্লেখ করেন। এ সময় হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করায় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
হাসপাতাল মর্গ এলাকায় হাবিবুল্লাহর সাথে কথা বলা গেলেও জানাজা পরবর্তী সময় ও মামলার বিষয়ে কথা বলতে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুহিবুল্লাহর অনুসারী সচেতন অনেক রোহিঙ্গা বলেন, 'হুমকির' কারণে 'চিহ্নিতদের'ও আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা যায়নি।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাদী যেভাবে এজাহার দিয়েছেন, সেভাবে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। তদন্তের পর হত্যায় জড়িতদের মামলায় সংযুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার বিকালে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ইস্ট ২ নম্বর কেন্দ্র জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এতে রোহিঙ্গারা অংশ নেন।
নয় সন্তানের জনক ছিলেন মুহিবুল্লাহ। মিয়ানমারে থাকতে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ক্যাম্পে তিনি 'মাস্টার মুহিবুল্লাহ' নামে পরিচিত ছিলেন।