জিম্বাবুয়েতে সালমা-জাহানারাদের হোয়াইটওয়াশ আনন্দ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে জিম্বাবুয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। বাছাই পর্বের আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন সালমা-জাহানারারা। তিন ম্যাচেই দাপট দেখা গেছে বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথম দুই ওয়ানডে দিয়ে সিরিজ জিতে নেওয়া বাংলাদেশ তৃতীয় জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল।
সোমবার বুলাওয়েতে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যবধানটা আরও বড়, ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। তৃতীয় ম্যাচেও সেই ধারা ধরে রাখল বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা জিম্বাবুয়ে পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছে। নাহিদা আক্তার, অভিষিক্ত ফারিহা তৃষ্ণা ও রুমানা আহমেদের বোলিং তোপে মাত্র ২৭.২ ওভারে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জয়তুলে নেয় বাংলাদেশ।
যদিও ছোট লক্ষ্যে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ৩২ রানে ওপেনার নুজহাত তাসনিয়াকে হারায় সফরকারীরা। ফেরার আগে ১০ রান করেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নিগার সুলতানা জ্যোতিও রান পাননি। ১২ রান করে থামেন তিনি।
জয়ের খুব কাছে থাকতে আউট হন ১ রান করা সোবহানা মোস্তারী। তবে এক পাশ আগলে শুরু থেকে দলের জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খেলেন মুর্শিদা। ৪৮ বলে ৫টি চারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জিম্বাবুয়ের নমভেলো সিবান্দা, এসথার এমবোফানা ও লরিন ফিরি একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়েকে একাই পথ ভুলিয়ে দেন নাহিদা আক্তার। বাঁহাতি এই স্পিনার ১০ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফারিহা এবং রুমানা আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
জিম্বাবুয়ের শারনে মেয়ার্স ছাড়া কেউই রান করতে পারেননি। ৭২ রানের মধ্যেই মেয়ার্সই করেন ৩৯ রান। জিম্বাবুয়ের বাকি ব্যাটাররা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন। কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। তাদের ছয়জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন।