করোনাভাইরাস: ডেল্টার চেয়েও ‘ভয়ঙ্কর’ ভ্যারিয়েন্ট এবার দক্ষিণ আফ্রিকায়
করোনাভাইরাসের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানায়। অন্তত ৩২ বার স্পাইক প্রোটিন বদলে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ আফ্রিকাতে ২২ জন ব্যক্তি এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরোলজির পরিভাষায় 'ভয়ঙ্কর' এই ভ্যারিয়েন্টের নাম বি.১.১৫২৯।
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেই এই ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে। ব্রিটেনের ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ফ্র্যাঙ্কোসিস ব্যালাউক্স বলেন, "এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে এখনই ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এখন আমাদের উচিত এই ভ্যারিয়েন্টের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা। এখনই খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।"
এদিকে ইম্পিরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট টম পিকক বলেন, " নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে উল্লেখ্য, এই ভ্যারিয়েন্টে এখনও পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক মানুষই আক্রান্ত হয়েছে।"
এনআইসিডি-র ভারপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান পুরেন বলছেন, "এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বিশ্লেষণযোগ্য তথ্যের পরিমাণ খুবই কম। তবুও আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি।"
- সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা