প্রতারকের কাছ থেকে ৬৯ লাখ টাকার উপহার নিয়ে বিপাকে জ্যাকুলিন
২০০ কোটি রূপি অর্থ প্রতারণা মামলায় ভারতীয় নাগরিক সুকেশ চন্দ্রশেখর, তার স্ত্রী অভিনেত্রী লীনা মারিয়া পাল এবং আরও ছয়জনের নামে নামে ৭০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট অব ইন্ডিয়া (ইডি)।
কিন্তু চমকে দেওয়া ব্যাপার হলো, প্রতারক সুকেশের সাথে নাম জড়িয়েছে একাধিক বলিউড অভিনেত্রীর! এদের মধ্যে অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফাতেহির নামও রয়েছে।
চার্জশিট অনুযায়ী প্রতিবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুকেশ নিজেই জানিয়েছেন তিনি জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে ৫২ লাখ রুপি মূল্যের একটি ঘোড়া এবং ৯ লাখ রুপি মূল্যের একটি পার্সিয়ান বিড়াল উপহার দিয়েছেন, খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। বাংলাদেশি মুদ্রায় এসব উপহারের দাম ৬৯ লাখ টাকারও কিছু বেশি।
গতকাল রোববার একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য মুম্বাই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। কিন্তু সুকেশের মামলাকে কেন্দ্র করে অভিনেত্রীর ভারতের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইডি।
এদিকে প্রতারক সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের চুম্বনরত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে, যা উত্তেজনার আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। এ থেকে সুকেশের সাথে শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্পষ্ট বোঝা গেলেও, জ্যাকুলিন তা অস্বীকার করেছেন।
বলিউড সেনসেশন নোরা ফাতেহিকেও তিনি দামি গাড়ি উপহার দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ। ইতোমধ্যে জ্যাকুলিন এবং নোরা ফাতেহি, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে ইডি।
এর আগে অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি এক বিবৃতিতে দাবি করেন, তিনি কোনোরকম অর্থ প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত নন। বিবৃতিতে বলা হয়, "এই প্রতারণা মামলাকে জড়িয়ে নোরা ফাতেহির নাম এসেছে এবং একজন সাক্ষী হিসেবে তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম সহায়তা করছেন। আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই যে তিনি কোনো অর্থ জালিয়াতির সাথে যুক্ত নন এবং অভিযুক্ত প্রতারকের সাথে তার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। ইডি তাকে এই তদন্তে সাহায্য করার জন্যই তলব করেছে।"
গত আগস্টে দিল্লী পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং সুকেস চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের ভেতরে তার নামে একাধিক মামলার তদন্ত চলাকালীনই তিনি প্রমোটার রণবক্সি, শিবিন্দর সিং এবং মালবিন্দর সিংয়ের স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে ২০০ কোটি রূপি হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযোগ দাখিল করে ইডি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সুকেশ নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দাবি করে এসব নারীকে তাদের স্বামীদের মামলার ব্যাপারে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুর বেশকিছু মানুষও সুকেশের প্রতারণার খপ্পরে পড়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস