১১ দিন পর শুরু হয়েছে শাবিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম
১১ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের উত্তাল ক্যাম্পাস এদিন ছিল একেবারেই শান্ত।
উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বুধবার সকালে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হক আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙ্গানোর পর বদলে যেতে শুরু করে শাবি ক্যাম্পাসের চিত্র।এদিন রাতেই উপাচার্যের বাসভবনের অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। খুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকও। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তালা খুলে কক্ষে প্রবেশ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুরু হয় প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজিম উদ্দিন বলেন, 'আজ থেকে আমরা অফিস করেছি। গত কয়েকদিন ক্যাম্পাসে এলেও অফিসে প্রবেশ করতে পারিনি।'
এদিকে, বাসার সামনে ব্যারিকেড বা শিক্ষার্থীদের অবস্থান না থাকলেও; বৃহস্পতিবার বাসভবন থেকে বের হননি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সেখান থেকেই তিনি প্রশাসনিক কাজ করেছেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানা গেছে।
অনশন ভাঙ্গার পরও আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিলেও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের কোন কর্মসূচি ছিল না।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমদ জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে তারা নতুন কর্মসূচি শুরু করবেন। আজ রাতে আলোচনা করে যা চূড়ান্ত করা হবে।
এর আগে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ২০ শিক্ষার্থী। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯ জন আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি এক প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শাবি সিরাজুন্নেছা হলের ছাত্রীরা। ১৬ জানুয়ারি ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের লাটিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও ১৭ জানুয়ারির মধ্যে সকলকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য। সেদিন রাত থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আর বুধবার থেকে অনশন শুরু করেন তাদের কয়েকজন।