দক্ষিণ কোরিয়ার নাক ঢাকা মুখ খোলা ‘কোস্ক’ মাস্ক ঘিরে বিতর্ক
এই মাস্কের নাম দেওয়া হয়েছে 'কোস্ক'। অনেকেই বিশেষ কারণে ব্যবহার করছেন এটি।
দু-বছর হয়ে গেছে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। গত দু-বছর ধরে মাস্কের ব্যবহার তাই বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে। মাস্ক নিয়ে গত দু-বছরে পরীক্ষানিরীক্ষাও কম হয়নি। কিন্তু এবার সব মাস্ককে পেছনে ফেলে সবার নজর কেড়ে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মাস্ক। যার নাম 'কোস্ক'।
কী এই 'কোস্ক'?
কোস্ক মূলত নাকঢাকা মাস্ক। কোরিয়ান ভাষায় 'কো' মানে নাক। 'কো' আর 'মাস্ক' মিলে হয়েছে 'কোস্ক'। এতে নাকের অংশটি ঢাকা থাকলেও মুখ খোলা। তবে এর ভেতরে একটি অংশ রয়েছে, যা ভাঁজ করে রাখা থাকে। দরকার হলে সেটি খুলে নিয়ে মুখও ঢেকে রাখা যায়। ইদানীং এই মাস্কটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। হু হু করে বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
কোস্কের জনপ্রিয়তার কারণ কী?
সবাই বলছেন, এই মাস্ক পরে থাকা অবস্থাতেও অনায়াসে খাওয়াদাওয়া করা যায়। অন্য মাস্ক পরে থাকলে খাওয়ার সময়ে সেটি খুলে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সেই অসুবিধা নেই।
কিন্তু এটি নিয়ে নানা রকম মত রয়েছে ইন্টারনেটে। আদৌ কি এটি কোনো কাজে লাগে? নাকি পুরোটাই দেখনদারি?
অনেকে বলছেন, এটিতে যেহেতু মুখ ঢেকে রাখার সুযোগ রয়েছে, তাই এটি দরকারমতো খুলে মুখও ঢেকে রাখা যায়। ফলে দুটো কাজই একসঙ্গে হয়। আর খাবার খাওয়ার সময়ে তো নাকটুকু ঢাকা থাকছেই। ফলে তাতে কিছুটা হলেও অতিরিক্ত সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে, যা অন্য মাস্কে পাওয়া যায় না।
যদিও এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, পুরোটাই কায়দাবাজি। খাওয়ার সময়ে নাক খুলে রাখলেও বিশেষ ক্ষতি হয় না। আর এই মাস্কটি পরে অনেকেই সব সময় মুখ খুলে রাখছেন। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
তবে যে যাই বলুক না কেন, হু হু করে বিক্রি হচ্ছে কোস্ক। ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে এর জনপ্রিয়তা।