জিপিএ-৫ এর মহোৎসব: এবার পেল ১ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। এবার মোট পাস করেছে ৯৫.২৬% শিক্ষার্থী; সারাদেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৮৯,১৬৯ জন।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাই পাস করেন। 'অটোপাশের' বছরে সারাদেশ থেকে জিপিএ-৫ পান ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। কিন্তু এ বছর ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা গতবারের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ২৭,৩৬২ জন।
অন্যদিকে মহামারির আগে ২০১৯ ও ২০১৮ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায় যথাক্রমে ৪৭,২৮৬ এবং ২৯,২৬২ জন। তারও আগে ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৭,৯৬৯।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬.২০ শতাংশ; জিপিএ-৫ এসেছে ৫৯,২৩৩ জনের, যা সর্বোচ্চ।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ঢাকার পর এগিয়ে আছে রাজশাহী বোর্ড; রাজশাহীতে জিপিএ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ জন। এরপরেই যশোরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ জন, দিনাজপুরে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন, কুমিল্লায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন, চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ জন, বরিশালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন, ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী এবং সিলেটে পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ, কুমিল্লায় পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, রাজশাহীতে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, বরিশালে পাসের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ, সিলেটে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে পাসের ৮৯.৩৯ শতাংশ।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯,১৮৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (http://www.educationboardresults.gov.bd) থেকে ফলাফল জানতে পারবে। এছাড়া মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
গেল বছরের ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩০ তারিখে শেষ হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হলেও, টানা আটমাস দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষার সময় পেছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মহামারির কারণে গ্রুপভিত্তিক ও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রম অনুসারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।