প্রাইম ইসলামী ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান খালেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রাইম ইসলামী ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংস্থাটি।
প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশন, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ ও পিপলস লিজিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এম এ খালেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।
এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে আজ বুধবার দুদকে হাজির হতে বলা হলেও তিনি হাজির হননি। এমনকি কোনো সময়ের আবেদনও করেননি তিনি।
দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকারের ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে বলা হয়, 'বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তিনি স্বপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু অনু
সন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।'
খালেক যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সেই বিষয়ে চিঠিতে অনুরোধ জানিয়ে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও তার কানাডিয়ান পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খালেকের বারিধারার ৬ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়ির ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়ে ৪ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ আরো কয়েকজন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড ছাড়াও প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডসহ আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দায়িত্ব পালনের সুযোগে ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে শতশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন খালেক।