রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ জয়ের
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সামান্যতম লড়াইও করতে পারে না বাংলাদেশ। এবার ডারবানে লড়াই করলেও ভাগ্য বদলায়নি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হয়ে বড় ব্যবধানে হারে মুমিনুল হকের দল। দলের মতো ব্যাটসম্যানরাও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারে না। দলটির বিপক্ষে এবং তাদের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ছিল না।
২০ বছরের সেই অপেক্ষায় ইতি টেনেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাংলাদেশের তরুণ এই ওপেনার দারুণ এক সেঞ্চুরিতে নিজের নামটি রেকর্ড বইয়ে খোদাই করে নিয়েছেন। তার ১৩৭ রানের সেই ইনিংসের প্রভাব পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৩৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের।
গত সপ্তাহের পারফরম্যান্সের বিবেচনায় র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। যা বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ৩৭ ধাপ এগিয়ে ৬৬তম স্থানে আছেন জয়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের রেটিং পয়েন্ট ৪৭২।
জয় লম্বা লাফ দিলেও র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে লিটন কুমার দাসের। বছর দেড়েক ধরে টেস্টে দারুণ ছন্দে থাকা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান চার ধাপ পিছিয়ে গেছেন। ৬৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছেন তিনি। নিজের ছায়া হয়ে থাকা মুশফিকুর রহিম পিছিয়েছেন ৭ ধাপ, ২৮ নম্বরে আছেন তিনি।
প্রথম টেস্ট না খেললেও র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই ওপেনার ৩৩ নম্বরে আছেন। সাকিব আল হাসান তিন ধাপ পিছিয়ে ৪২ নম্বরে নেমে গেছেন। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক পিছিয়েছেন ১২ ধাপ, আছেন ৪৫ নম্বরে।
টেস্টের বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। তিন ধাপ এগিয়ে ৩২ নম্বরে আছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম এক ধাপ এগিয়ে ২৪ নম্বরে আছে, বাংলাদেশের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও পিছিয়েছেন সাকিব। এক ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে আছেন তিনি।