ভোটে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ স্থগিত হয়ে গেল রাশিয়ার
ইউক্রেনে আক্রমণকারী রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে 'মানবাধিকারের স্পষ্ট ও পদ্ধতিগত লঙ্ঘন এবং অপব্যবহার'-এর অভিযোগে রাশিয়াকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভোটাভুটিতে ৯৩ ভোট রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে। ২৪টি দেশ 'না' ভোট দিয়েছে, ৫৮টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার জন্য সাধারণ পরিষদের তিন ভাগের দুই ভাগ ভোটের দরকার ছিল। এর আগে মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর কারণে ২০১১ সালে লিবিয়াকে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য দেশের আনীত ওই রেজল্যুশন-এ 'ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার ও মানবিক সংকট বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া এটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে থাকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এর আগে রাশিয়া হুমকি দিয়েছিল 'হ্যাঁ' ভোট বা ভোটদান থেকে বিরত থাকলে তা হবে একটি 'অবন্ধুসুলভ আচরণ'। এর ফলে রাশিয়ার সাথে ওই দেশগুলোর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।
ইউক্রেনের বুচা শহরে শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে রাশিয়ান বাহিনীরা হত্যা করেছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ আনার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল এটি মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানাবে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড রাশিয়াকে কাউন্সিল থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেন। 'এমন কোনো সংস্থায় রাশিয়ার কোনো পদ থাকা উচিত নয় যেটির মূল উদ্দেশ্য হলো মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা- বলেন লিন্ডা।
অন্যদিকে রাশিয়াকে প্রত্যাহার বিষয়ক ভোট প্রসঙ্গে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এটিকে 'আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক সুলভ আচরণ পাকাপোক্ত করার চেষ্টা' বলে অভিহিত করেছেন।
- সূত্র: রয়টার্স ও সিএনএন