আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে
খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৮ টাকায়, অবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৬০ টাকা হলেও বাজারভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সোমবারের দৈনিক বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, সয়াবিন তেলের দাম গত সপ্তাহের ব্যবধানে ৩-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার সরকার নির্ধারিত দামের সঙ্গে তুলনা করলে খোলা তেল ৭-১৫ টাকা এবং বোতলজাত তেল ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা লিটার হিসেবে। আবার সেগুনবাগিচা আগোরা সুপারশপ এ গিয়ে সরকার নির্ধারিত দামে দুই ও পাঁচ লিটারের তেল বিক্রি করতে দেখা গেলেও এক লিটারের পলি প্যাকে তেল পাওয়া গেল ১৬৫ টাকায়। অবশ্য এর গায়ে ফেব্রুয়ারীতে বোতলজাতের তারিখ দেওয়া ছিল। এদিকে কারওয়ানবাজারে গিয়ে খোলা সয়াবিন পাওয়া গেছে ১৬৫-১৭০ টাকায়।
দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. বাদশা টিবিএসকে বলেন, "হঠাৎ করেই তেলের সরবরাহ কমে গেছে। যে কারণে দাম একটু চড়া।"
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার পাইকারি মার্কেটের পাইকারি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, কোম্পানিগুলো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। যে কারণে তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন তেলের সরবরাহ একবারেই কম।
তিনি বলেন, "আমরা আগে এক টন চাইলে এক টনই সরবরাহ পেতাম। কিন্তু এখন দিনে একশ লিটারও পাচ্ছি না। তবে আমরা দাম বাড়াইনি।"
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনা দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, মিল থেকে সবাই সরাসরি তেল কিনতে পারবে।
রিফাইনারি কোম্পানিগুলো বলছে, এর প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে। বাজারে তেলের সরবরাহ কমেনি, বরং বেড়েছে। তবে মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জের যারা শুধু একটা দোকান নিয়ে ডেলিভারী অর্ডার সংগ্রহ এবং বিক্রি করতো সেটা বন্ধ করা হয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যবসায়ী তেলের সরবরাহ পাচ্ছে না।
টিকে গ্রুপের পরিচালক (অর্থ ও পরিচালনা) মোঃ শফিউল আতহার তসলিম টিবিএসকে বলেন, "আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছি। বাজারে তেলের কোন ঘাটতি নেই। তবে মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জ কেন্দ্রিক কিছু ব্যবসায়ী হয়তো তেল পাচ্ছে না। যে কারণে একটা সংকটের কথা তারা বলতে চাচ্ছে, যা সত্য নয়।"