এক মামলায় জামিন না হওয়ায় আটকে গেল সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের কারামুক্তি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলার মধ্যে তিনটি থেকে জামিন পেলেও দুদকের এই মামলায় জামিন না পাওয়ায় সহজেই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না যুবলীগের সাবেক এই নেতা।
এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য বুধবার দিন ধার্য ছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ। বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান দুদকের এই মামলায় সম্রাটের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একইসাথে আগামী ১১ মে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শুনানি উপলক্ষে অসুস্থ সম্রাটকে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। মানি লন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক এই তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে, দুদকের দায়ের করা অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আপাতত তার মুক্তি আটকে গেল।
গত ২২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গ্রেপ্তারের পর চারটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।