পশ্চিমা বিশ্বের প্রয়োজন রাশিয়ান গ্যাস, কিন্তু রাশিয়া ঝুঁকছে পূর্বদিকে
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার জানান, ইউরোপ তাদের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করায় নিজেদের জ্বালানি রপ্তানি পূর্বের দেশগুলোর দিকে নিয়ে যাবে মস্কো। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো সহজেই রাশিয়ান গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে রাশিয়া। কিন্তু, ইউক্রেনের ওপর আক্রমণের ফলে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।
যদিও ইইউ রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা এবং অন্য দেশ থেকে সরবরাহ চাইবে কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে বিতর্ক। এই বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি গ্রাহক চীনসহ অন্যান্য এশীয় দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে রাশিয়া।
পুতিন সম্প্রতি একটি সরকারি বৈঠকে বলেন, "বন্ধুত্বহীন দেশগুলোর তথাকথিত মিত্ররা নিজেরাই স্বীকার করে যে তারা প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রাশিয়ান জ্বালানি ছাড়া চলতে সক্ষম হবে না।"
"ইউরোপে রাশিয়ান গ্যাসের কোনো বিকল্প এখনও নেই," যোগ করেন তিনি।
পুতিন আরও বলেন, ইউরোপ রাশিয়া থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার কথা বলে দাম বাড়াচ্ছে এবং বিশ্ব-বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
এমন অবস্থায়, রাশিয়ান সরকারকে আগামী ১ জুনের মধ্যে 'আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকাসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে পরিবহন পরিকাঠামো সম্প্রসারণের' জন্য একটি পরিকল্পনা উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বৈঠকে তিনি নতুন দুটি পাইপলাইন অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। নতুন রুটগুলো রাশিয়াকে এশিয়া অর্থাৎ ইউরোপের উল্টোদিকে গ্যাস প্রবাহ স্যুইচ করার আরেকটি পদক্ষেপ হতে পারে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে পাইপলাইন গ্যাস সরবরাহ চালু করে রাশিয়া। এছাড়া, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন পাইপলাইনের মাধ্যমে ৩০ বছরের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে তারা।
- সূত্র- রয়টার্স