তামাক নিয়ন্ত্রণে ডর্প-এর ছয় দফা প্রস্তাবনা
তামাক নিয়ন্ত্রণে ছয় দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্প (ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র)। বিশেষ করে জনপরিসরে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে এটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে তরুণ প্রতিনিধিদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। মাসব্যাপী চলমান এ কর্মশালায় ৩০ জনের অধিক তরুণকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণে দিচ্ছে সংস্থাটি।
অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা; এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
কর্মশালায় সিটিএফকে বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, বিভিন্ন অফিস এবং রেস্টুরেন্টে স্মোকিং জোন বিদ্যমান, এবং এই স্থানগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়া অধূমপায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে এ নির্ধারিত ধূমপান স্থানগুলো বিলুপ্ত করতে হবে।
তামাকের ব্যবহার হঠাৎ করে বন্ধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে ডর্প-এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদার বলেন, 'তামাকের ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমাদের একটা মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।'
ডর্পের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'তামাকের ব্যবহার রোধের বিষয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। আমাদের কথা দেশের নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌছাতে হবে।'
উল্লেখ্য, ডর্প ১৯৮৭ সাল থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসেবে সমধিক পরিচিত। এটি বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাক কর বৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে এবং সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।