কুয়াকাটা সৈকত থেকে আড়াই ঘণ্টায় ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ শিক্ষার্থীদের
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ৬ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট প্লাস্টিক পরিষ্কার অভিযান চালিয়ে আড়াই ঘণ্টায় মোট ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা বর্জ্যের মধ্যে ফুড প্লাস্টিক (র্যাপার), পলিথিন, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক প্রোডাক্ট, বোতল, সিগারেটের প্যাকেট, পরিত্যক্ত মাছের জাল, প্রসাধনী পণ্য, ই-বর্জ্য অন্যতম।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই পরিষ্কার কার্যক্রম চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, (সিইজিআইএস) এ আয়োজনে সহযোগিতা করেন। এছাড়া ইয়ুথনেট বরিশাল ও এ্যানিমেল লাভারস অভ পটুয়াখালী নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এ কাজে যুক্ত হয়।
সবচেয়ে বেশি পাওয়া প্লাস্টিকের মধ্যে ছিল খাদ্যদ্রব্য-সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক, যেমন চানাচুর, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট ও পানীয়ের বোতল।
আয়োজনে সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।
সাগরকন্যা নামে পরিচিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির নানান প্রাণী। আছে সংকটাপন্ন প্রাণীরও। এছাড়া সমুদ্রসৈকত জুড়ে আছে বিচিত্র প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বসবাস।
কিন্তু এই জীববৈচিত্র্যের বড় একটি অংশ হারিয়ে গেছে কুয়াকাটা থেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের আনাগোনা, অসচেতনভাবে পর্যটকদের আনাগোনা আর দূষণে জর্জরিত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করছে প্লাস্টিকের দূষণ। বিশেষ করে গঙ্গামতির চর, সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের সম্মুখ দিক এ দূষণে বেশি আক্রান্ত।
কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা নিরূপণ এবং মানুষের মনে জনসচেতনতা তৈরিতে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করতে দক্ষিণাঞ্চলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। এর অংশ হিসেবেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পরিষ্কার অভিয়ান চালানো হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সহকারী একান্ত সচিব এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদ, আশিকুর রহমান সমীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।