একটির সঙ্গে দুটি ফ্রি: ভাগ্যদোষে তিন দফা কোয়ারেন্টিন
কপাল খারাপ হলে যা হয় আরকি! টানা তৃতীয় দফায় প্রায় মাস দুয়েক হোম কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হলো এক দুর্ভাগা চীনা পুরুষকে।
তিনি দেশটির শ্যান্ডং প্রভিন্সের জিনিং শহরের বাসিন্দা। নাম, জিয়ং। ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটা এবং মার্চ মাসের অর্ধেক তাকে একটানা কাটাতে হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। আর তা ঘটেছে অনেকটা দুর্ভাগ্যক্রমেই।
সে কথা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়ে গেছে। তার এই 'ভাগ্য'কে অনেকেই অভিহিত করছেন, 'একটা কিনলে দুইটা ফ্রি' ধরনের বিজ্ঞাপনী ভাষায়। খবর অডিটি সেন্ট্রালের।
ফিলিপাইন থেকে দেশে ফেরার দুই দিন পর, ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার হোম কোয়ারেন্টিনে ঢুকেন জিয়ং। জিংনিং শহরে তখন লকডাউন চলছিল। ১৪ দিন ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় পড়ে যান তিনি। প্রথম দফায় কষ্ট হলেও মেনে নিয়েছিলেন; কিন্তু ভাবতে পারেননি তাকে টানা ৫০ দিন কাটাতে হবে ঘরে!
জিয়ং জানান, প্রথম দফায় দুই সপ্তাহের ঘরবন্দি জীবন কাটিয়ে অবশেষে যখন বাইরের দুনিয়ায় পা বাড়ালেন, তখনই হাজির হলো আরেক মুসিবত। চারপাশটা দেখবেন বলে তিনি মাত্রই রাস্তায় পা ফেলেছেন, আবারও তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো সেলফ কোয়ারেন্টিনে।
ভিডিও বার্তায় জিয়ং বলেন, 'আমাদের বলা হলো, দুই সপ্তাহ সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফলে ১৪ দিন ঘরে বন্দি থাকার আদেশ মেনে নিলাম আমি। দুই সপ্তাহ পর ঘর থেকে বের হতেই দেখা হলো এক প্রতিবেশীর সঙ্গে। তিনি সদ্যই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরেছেন। তিনি আমার দিকে এগিয়ে এলেন; সঙ্গে এক স্বাস্থ্যকর্মী। আমাকে বলা হলো, আরও ১৪ দিন ঘরেই থাকতে হবে। আমিও ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো রকম দুঃসাহস দেখাইনি!'
দ্বিতীয় দফার সেই ১৪টা দিন গুনে গুনে কেটেছে তার। বললেন, 'সারাদিন মেঝেতে শুয়ে থেকেছি; কিচ্ছু করিনি। তারপর এই দফা যেদিনই শেষ হলো, সেদিনই আমার ভাই ফিরে এলো সিঙ্গাপুর থেকে! অগত্যা আমাকে আরও ১৪ দিনের ফেরে পড়ে যেতে হলো। প্রায় ৫০টা দিন আমার মেঝেতে গড়াগড়ি করেই কেটেছে। এর বাইরে একদমই কিছু করিনি।'
জিয়ংয়ের ঘটনাটি দ্বিতীয় সারির কমেডির মতো শোনালেও এটিই সত্য। অবশ্য তিনি যে একেবারেই কিছু করেননি, তা নয়; নিজের সময় ক্ষেপনকে মাঝেমধ্যে ভিডিও-বন্দিও করে রেখেছেন।