কাঁকড়ার সুরক্ষার জন্য নোটিশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ
বছরে একবার নিজেদের দ্বীপবাস ছেড়ে সমুদ্র উপকূলের দিকে যাত্রা করে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস আইল্যান্ডের কাঁকড়ারা। দ্বীপসংলগ্ন রাস্তাঘাট এবং সেতু দিয়ে পারাপার হয় কাঁকড়ার ঝাক। অগণিত কাঁকড়ার এই যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে তাই যোগ্য ব্যবস্থাই নিয়েছে কর্তৃপক্ষ! কাঁকড়াদের চলাচলের সময়টা ওই অঞ্চলের রাস্তা মানুষের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমের এই দ্বীপটিতে প্রতি বছরই কাঁকড়ারা অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়। ক্রিসমাস আইল্যান্ডে মোট কাঁকড়ার সংখ্যা আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ।
পার্কস অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই লালরঙা মজার প্রাণীগুলোর ওপরে আরও আলোকপাত করা হয়েছে। ওয়েবসাইট মারফত জানা যায়, বিখ্যাত এই কাঁকড়াগুলো আসলে ক্যানিবালিস্টিক। দ্বীপের সকল কাঁকড়া একই সময়ে নিজেদের ঘর ছাড়ে এবং মিলন ও প্রজননের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের দিকে যাত্রা করে। এই অভিবাসন প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেয় পুরুষ কাঁকড়ারা এবং মেয়ে কাঁকড়ারা তাদের সঙ্গ দেয়। এ সময় তারা আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্য দিয়েও যাতায়াত করে। লাল কাঁকড়াদের এই যাত্রাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অভিবাসন প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে পার্কস অস্ট্রেলিয়া লেখে, 'মেরি ক্র্যাবমাস! কাঁকড়াদের অভিবাসনের এই সময়টার জন্যই যেন অপেক্ষা করে ছিলাম: ক্রিসমাস আইল্যান্ড ক্র্যাবস x ক্র্যাব রেভ। অভিবাসনের দিন এলো মানেই পথেঘাটে সর্বত্র শুধু কাঁকড়ার আনাগোনা।
গত ১০ নভেম্বর কাঁকড়াদের একটি ভিডিও শেয়ারের পর থেকে এখন পর্যন্ত এটির আট হাজারেরও বেশি ভিউ, তিন শতাধিক লাইক ও বেশকিছু রিঅ্যাকশন পেয়েছে।
ভিডিওটি দেখার পর জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এগুলো ভীষণ সুন্দর, দেখে মন আনন্দে ভরে গেছে!" আরেকজন লিখেছেন, "ওরা সংখ্যায় এত বেশি, এমনটাই তো খুঁজছিলাম!" আবার অনেকে এই কাঁকড়াদের 'সুন্দর সৃষ্টি' বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস