গাড়ির ধাক্কায় ২০ বছর পর দৃষ্টি ফিরলো অন্ধের
পোল্যান্ডের গর্জো ওয়েলকোপোলস্কি শহরের বাসিন্দা জানসুজ গোরাজ। ২০ বছর আগে এক অ্যালার্জি জনিত সমস্যায় দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই জানসুজ এক চোখে কিছুই দেখতে পেতেন না । ডান চোখে শুধু আবছা আলোর রেখা দেখতে পেতেন।
কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকেনা, তাই এই অন্ধত্ব নিয়ে বাঁচতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন জানসুজ। তবে বাংলা ভাষায় যাকে বলে ‘শাপে বর’ তেমনই এক ঘটনা ঘটে জানসুজের জীবনে। ঘটনা না বলে অবশ্য দুর্ঘটনা বলাটাই যথার্থ।
২০১৮ সালের কোনো একদিন রাস্তা পার হচ্ছিলেন জানসুজ। এসময় একটি গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কার কারণে প্রথম গাড়ির হুডে এবং তারপর পিচ বিছানো সড়কে বাড়ি খায় জানসুজের মাথা। আঘাত পান কোমড়ের হারেও। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর একটি সার্জারির মধ্য দিয়েও যান তিনি। স্বাভাবিক ঘটনা হলে গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারত, কিন্তু তা হয়নি। এখানেই শুরু হয় জানসুজের ব্যতিক্রমী সৌভাগ্য। খবর অডিটি সেন্ট্রালের।
শল্য চিকিৎসার পর হাসপাতালের বিছানায় টানা কয়েক সপ্তাহ কাটান জানসুজ। আর একদিন ঘুম থেকে উঠেই দেখেন পৃথিবীটা কেমন যেন অচেনা ঠেকছে দু'চোখে। আগের চাইতে কিছুটা যেন পরিষ্কার হয়েছে তার চোখের দৃষ্টি। এভাবে প্রতিদিন একটু একটু করে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে শুরু করেন তিনি। আর দুই সপ্তাহের ভেতরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে।
এই বিষয়টি তিনি হাসপাতেলের চিকিৎসকদেরও বলেছেন কিন্তু তারা কেউই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন নি।
জানসুজের ব্যাপারে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রভিন্সিয়াল হসপিটাল এক বিবৃতিও দেয়। হাসপাতাল মুখপাত্র অ্যাগনেইস্কা উইসনিস্কা বলেন, সত্যি বলতে কি আমাদের চিকিৎসকরা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তার এই বিস্ময়কর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার রহস্য কি? তবে প্রাথমিক অনুমান হচ্ছে এখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে যেসব ওষুধ দেওয়া হয়েছিল সম্ভবত সেসবের প্রভাবেই তার অন্ধত্ব সেরে গেছে।