বাজপাখির দাম ৭৯ লাখ টাকা!
সৌদি আরবের এক নিলামে রেকর্ড মূল্যে বিক্রিত হয়েছে একটি বাজপাখি। বিরল প্রজাতির ওই বাজপাখি দাম উঠেছে ৯৩,৩৪৭ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৯ লাখ টাকা), যা যেকোনো সৌদি নিলামেই কোনো বাজপাখির জন্য উঠা সর্বোচ্চ মূল্য।
রোববার সৌদি ফ্যালকন ক্লাব আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফ্যালকন ব্রিডার্স অকশানের অষ্টম দিনে ঘটে এই ঘটনা। বিক্রি হওয়া পাখিটি সুপার হোয়াইট গিরফ্যালকন ফরখ প্রজাতির। ওর বয়স এক বছরেরও কম।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান জিম উইলসন ফ্যালকনসে প্রজননকৃত এই পাখির নিলাম শুরুই হয় প্রায় ৫৬ লাখ টাকায়। ৭৯ লাখ টাকায় শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় বিরল প্রজাতির বাজপাখিটি। ক্রেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
বাজপাখিটি ১৮.৫ ইঞ্চি লম্বা ও চওড়া। ওজন ১.৬ কিলোগ্রাম। এ মাসের শুরুতেই প্রায় ৬১ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া সৌদি প্রজননকৃত বাজপাখি রাঘওয়ানের রেকর্ড ভেঙেছে সে।
বাজপাখি পালন মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলের মানুষদের খুবই প্রাচীন এক শখ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজপাখি প্রজনন কোটি কোটি ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে। গতি, সৌন্দর্য ও চাতুর্যের মতো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং বংশের ওপর ভিত্তি করে রেকর্ড দামে এসব বাজপাখি বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজপাখি শিল্পে দুই দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতাধারী আবদুল্লাহ শামরুখ বলেন, প্রজননের জন্য এসব পাখি কেনা এখন একটি লাভজনক ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বাজপাখির বিরলতার কারণে বাজারও খুব প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।
তিনি আরব নিউজকে বলেন, 'কেউ কেউ বিশুদ্ধ জাত পছন্দ করে, অন্যরা হাইব্রিড পছন্দ করে। প্রজনন খামারগুলোর সাফল্যের হার বাজপাখি মালিকদের মালিকানাধীন পাখির সংখ্যা শুধু বৃদ্ধিই করেনি, এটি এখন তাদের কৌশলের অংশ হয়ে গেছে। এখন বাজপাখিগুলোর বিক্রি ওদের প্রজাতি, বৈশিষ্ট্য ও উৎপত্তির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।'
জিম উইলসন ফ্যালকনসের মুখপাত্র ফারিস আল-ফারিস বলেন, খামারটি রোববারের রেকর্ড ভাঙা পাখিটির সমান গুণের প্রায় ৩০০টি বাজপাখি প্রজনন করে প্রতি বছর।
তিনি আরও বলেন, তাদের খামারটি আল-মাজায়েন প্রতিযোগিতা (বাজপাখির সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা) এবং বাজপাখির দৌড় প্রতিযোগিতায় অন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক খামারের তুলনায় বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।
-
সূত্র: আরব নিউজ