ভ্যাকসিন অনিরাপদ এমন ধারণায় ৫০০'র বেশি ভ্যাকসিন নষ্ট করলেন ফার্মাসিস্ট
বড়দিনের সময় ৫০০ ডোজেরও বেশি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নষ্ট করে ফেলেছিলেন উইসকনসিনের এক ফার্মাসিস্ট। জিজ্ঞাসাবাদে জানালেন ভ্যাকসিন বিপজ্জনক এ ধারণা থেকেই তিনি একাজ করেছেন।
ওহাউকি কাউন্টি ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি অ্যাডাম গেরোল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নিরাপদ নয় এমন ধারণা রয়েছে অভিযুক্ত ফার্মাসিস্টের। অ্যাটর্নি অ্যাডাম তার এমন ধারণার পেছনে বিস্তারিত কারণ না জানালেও তার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু তথ্য জানান।
৪৬ বছর বয়সী এ ফার্মাসিস্টের তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে, তিনি কাজের সময় দুইদিন বন্দুক নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ করেছেন তার এক সহকর্মী।
অ্যাডভোকেট অরোরা হেলথ হসপিটাল সিস্টেমে কর্মরত এ ফার্মাসিস্ট গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর রেফ্রিজারেটর থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্যাকসিনগুলো বের করে ফেলে যাওয়ার স্বীকারোক্তি দেন। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতেই তিনি ভ্যাকসিনগুলো সারারাত
বাইরে ফেলে রেখে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেন। পরবর্তীতে আবারও একই কাজ করার সময় হাসপাতালের এক কর্মী ঘটনাটি দেখে ফেলেন।
মডার্নার ভ্যাকসিন মাইনাস ২৫- মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ১২ ঘন্টার বেশি কক্ষ তাপমাত্রায় থাকলে মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়
তার এ কাজের জন্য ৫৭০টির মতো ভ্যাকসিন ডোজ নষ্ট করে ফেলতে হয়েছে, একই সাথে ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার আগে অন্তত ৫৭ জনকে সেই অকার্যকর ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্মকর্তারা। যাদেরকে এ ভ্যাকসিনগুলো দেয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।
ব্র্যান্ডেনবার্গ নামের এই ফার্মাসিস্ট তদন্তকারীদের বলেছেন, তিনি জানতেন যারা ভ্যাকসিনগুলো নিয়েছে তারা মনে করবে তারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, যদিও তারা মনে
ব্র্যান্ডেনবার্গকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে গ্রাফটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। তার বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রি নিরাপত্তা বিপন্ন করা, সম্পত্তি বিনষ্টিকরণের মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও ব্যাপারটি তদন্ত করছে।