শেরপার অনন্য রেকর্ড: এভারেস্ট চূড়ায় ২৫তম বার!
গতকাল শুক্রবার ২৫তম বারের মতো মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন শেরপা গাইড কামি রিটা। আর তাতে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ছোঁয়ার নিজেরই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
নেপালের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা মিরা আচার্য জানান, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় এভারেস্টের ওই শীর্ষ সামিটে পৌঁছেন কামি রিটা ও আরও ১১ জন শেরপা গাইড।
এ বছর ওই সামিটে পৌঁছানো প্রথম পর্বতারোহী দলও এটি। এ মাসের শেষদিকে অপেক্ষারত আরও কয়েক'শ পর্বতারোহী যেন এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছতে পারেন, সেজন্য বরফাচ্ছাদিত ওই রুটের রশিগুলো মেরামতের কাজে গিয়েছিল দলটি।
বলে রাখা ভালো, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর এভারেস্টের নেপালের অন্তর্গত দক্ষিণ দিক ও চীনের অন্তর্গত উত্তর দিক- দু'দিক থেকেই পর্বতারোহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও নেপাল এ বছর ৪০৮ জন বিদেশি পর্বতারোহীকে এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দেয়।
অন্যদিকে, চীন উত্তর দিকটি খুলে দিয়েছে মাত্র কয়েক ডজন পর্বতারোহীর জন্য, যাদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং পর্বতারোহনের সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশ।
৫১ বছর বয়সী রিটা প্রথমবার এভারেস্টে ওঠেন ১৯৯৪ সালে। এরপর প্রায় প্রতি বছরই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন তিনি। যারা ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার উচ্চতার ওই শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছানোর স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর নেপালে হাজির হন, সেই পর্বতারোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সঠিক পথ দেখাতে গাইড হিসেবে কাজ করা অসংখ্য শেরপার মধ্যে তিনিও একজন।
প্রথম প্রজন্মের শেরপা গাইডদের একজন ছিলেন তার বাবা। বাবার পথ ধরেই এ পথে এগিয়ে যান রিটা। ২৫ বার এভারেস্টের চূড়া ছোঁয়ার পাশাপাশি তিনি পৃথিবীর আরও কয়েকটি শীর্ষ চূড়ায় পৌঁছেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কে-টু, চো-ওয়ু ও মানাসলু।
২০১৫ সালে এভারেস্টের বেসক্যাম্পে এক হিমধসে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সে সময় সেখানে থাকলেও প্রাণে বেঁচে যান রিটা। ওই ট্রাজেডির পর পরিবারের চাপে তিনি পর্বতারোহন সাময়িকভাবে ছেড়ে দিলেও চূড়ার মায়া ছেড়ে বেশিদিন দূরে থাকতে পারেননি।
জানা গেছে, এ বছরের বসন্তকালীন পর্বতারোহন মৌসুমে ৪৩টি দলকে এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদের সহযোগিতা করবেন প্রায় ৪০০ নেপালি গাইড।
- সূত্র: এপি