সদ্য আবিষ্কৃত ড্রয়িংটি কি সত্যি ভিঞ্চির?
মৃত্যুর ৫০০ বছরেরও অধিককাল কেটে গেলেও লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির শিল্পকর্ম নিয়ে আগ্রহে ভাটা পড়েনি। মোনালিসার হাসির রহস্য উদ্ধারে এখনো কৌতুহল বিরাজ করে শিল্পপ্রেমীদের মনে।
কিংবদন্তি ওই চিত্রশিল্পীকে এখন চলছে নতুন আলোচনা। ভিঞ্চির একটি 'অজ্ঞাত' ড্রয়িং আবিষ্কারের দাবি করেছেন এক ইতালিয়ান শিল্প-পণ্ডিত। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম 'লেক্কো টুডে'তে প্রথম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়।
লাল খড়িমাটিতে আঁকা যিশুর সেই ড্রয়িং এখন শিল্পমোদীদের আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে।
এদিকে, ইতালিয়ান সংবাদপত্র 'লা স্তাম্পা'য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউনেস্কোর ফ্লোরেন্স বিভাগে কর্মরত ভিঞ্চি পণ্ডিত আন্নালিসা দি মারিয়া ওই ড্রয়িং আবিষ্কার করেছেন। ড্রয়িংটি একজন ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে পান তিনি।
স্কেচের রেখাগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি সহসাই বুঝে যান, এ ভিঞ্চিরই কাজ। তিনি আরও নিশ্চিত হন, এটি ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'সালভাতর মুন্দি'র একটি স্টাডি ড্রয়িং।
'এটি আসলেই সালভাতর মুন্দির মুখ,' লা স্তাম্পায় বলেন দি মারিয়া। 'সবদিক থেকেই এটি লিওনার্দোর ড্রয়িং,' বলে জানান ওই শিল্প-ইতিহাসবিদ।
অবশ্য এতগুলো শতাব্দি এটি 'গুপ্ত' ছিল কেন, সেই প্রশ্নের সুরাহা হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। অন্যদিকে, এই শিল্পকর্মের অকৃত্রিমতা সম্পর্কে অন্তত একজন শীর্ষস্থানীয় ভিঞ্চি পণ্ডিত সন্দেহ পোষণ করেছেন।
'আমি এ দাবি খারিজ করে দিচ্ছি না; তবে ড্রয়িংটির নিবিড় পরীক্ষা ও বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ ছাড়া এ ব্যাপারে কিছু বলতেও পারব না,' টেলিগ্রাফকে বলেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিল্প-ইতিহাসবিদ মার্টিন কেম্প।
তিনি আরও বলেন, 'এটিকে খারিজ করে দেওয়া খুবই বিপজ্জনক হবে; তবে এত সহসা মেনে নেওয়া হবে তারচেয়েও বেশি বিপদের ব্যাপার।'
- সূত্র: স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন