অনাদায়ী থাকলেও ঋণ পাচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীরা
গত বছরের ঋণের টাকা অনাদায়ী থাকলেও ২০২১ সালের আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোরবানিকৃত পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চামড়া ব্যবসায়ীদেরে (কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়/প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট ট্যানারী শিল্পসহ চামড়া খাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠার/শিল্প) অনুকূলে প্রতি বছর তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
তবে চামড়া শিল্পে বিরাজমান সমস্যাসহ কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবজনিত কারণে ২০২০ সালে কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিতরণকৃত ঋণের কিছু অংশ অনাদায়ী রয়েছে। কিন্তু দেশীয় কাঁচামাল ভিত্তিক চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক যোগান আসে প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া থেকে আসে।
এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের অর্থের যোগান নিশ্চিত করা গেলে মূল্যবান কাঁচামাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। পাশপাশি কোরবানিকৃত পশুর চামড়া বিক্রির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। এজন্য ২০২০ সালে বিতরণকৃত ঋণের অপরিশোধিত অর্থের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে স্টক/সহায়ক জামানত থাকা সাপেক্ষে উক্ত অপরিশোধিত অর্থ তিন শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ করে সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে।
পুনঃতফসিলিকরণের পর ব্যাংকিং নিয়মাচার অনুসরণপূর্বক তফসিলি ব্যাংকসমূহ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ঈদুল আজহার জন্য পূর্বনির্ধারিত কোটার (বরাদ্দকৃত অর্থের) সমপরিমাণ ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এছাড়া ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে ২০২১ সালে কোরবানিকৃত পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজড এমাউন্ট আদায় করা যাবে না। এবং এ সুবিধা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।