ঋণ পেতে এনজিও’র দ্বারস্থ ৬২ ভাগ কৃষক
গত কয়েক বছর ধরে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির কথা বলে পল্লী অঞ্চলে ব্যাংকের শাখা খোলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হলেও ব্যাংকের ঋণ সেবার আওতায় আসতে পারছেন না কৃষকরা।
মাত্র ২৬ শতাংশ কৃষক ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ায় ৬৩ শতাংশের বেশি কৃষককে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে।
এখনও মহাজন থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কৃষক। আত্মীয় স্বজন বা অন্যান্য উৎস থেকেও ঋণ নিচ্ছেন প্রায় ৭ শতাংশ কৃষক।
সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এগ্রিকালচার অ্যান্ড র্যুরাল স্ট্যাটিটিক্স ২০১৮ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
২ কোটি ৭৫ লাখ পরিবারে জরিপ করে বিবিএস জানিয়েছে, তাদের ৪০ শতাংশ কোন না কোন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছে, এর মধ্যে ব্যাংক থেকে কৃষকরা সর্বোচ্চ গড়ে ৫৩ হাজার টাকা ঋণ দিচ্ছে।
আর এনজিও থেকে ৩৯ হাজার টাকা, মহাজন থেকে ৪২ হাজার টাকা, আত্মীয় থেকে সাড়ে ৪১ হাজার টাকা ও অন্যান্য উৎস থেকে গড়ে ৩১ হাজার টাকা করে ঋণ নিচ্ছে কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কৃষকদের নেয়া ঋণের সর্বোচ্চ ৬২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে কৃষি খাতে, যেখানে বাড়ি সংস্কারে ১২ শতাংশ, প্রাণীজ সম্পদে ৯ শতাংশ, অন্যান্য কাজে সাড়ে ৫ শতাংশ, চিকিৎসায় ৫ শতাংশ, বিয়ে উপলক্ষ্যে ৪ শতাংশ ও শিক্ষায় আড়াই শতাংশ ঋণ বিতরণ হয়েছে।